আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিয়ারকে সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করেছিলেন ইউক্রেনকে রাশিয়ায় দূরপাল্লার স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিতে বাইডেনকে রাজি করেছেন কিনা তখন কিয়ার এর সরাসরি কোন জবাব দেননি। তিনি জানান, বৈঠকে ইউক্রেনসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে দীর্ঘ এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুও ছিল।
তবে হোয়াইট হাউস বলেছে তারা ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করেছিলেন ইউক্রেনকে রাশিয়ায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের অনুমতি না দিতে।
পুতিন বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো সরাসরি অংশগ্রহণ করছে-এমনটা বোঝাবে।’তবে সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব স্যার বেন ওয়ালেস বিবিসি রেডিও 4-এর টুডে প্রোগ্রামকে জানান, পুতিনের হুমকি সত্ত্বেও ন্যাটোর উচিত হবে ইউক্রেনকে রাশিয়ায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে দেওয়া। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই বিবাদে শুধু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনই লাভবান হচ্ছেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করার আগে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, আমি পুতিনকে নিয়ে বেশি ভাবি না। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে অনুমতি দেয়নি। এতে সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলে তাদের ধারণা।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার পশ্চিমা মিত্রদের এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, বলেছেন যে এটি যুদ্ধের অবসান ঘটানোর একমাত্র উপায়।
কিউটিভি/আয়শা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:০৩