
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘আমরা সিরিয়াকে (আসাদকে) আমন্ত্রণ জানাব। অতীতে সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যে পর্যায়ের সম্পর্ক ছিল আমরা আবার সেই সম্পর্কে ফিরে যেতে চাই। এজন্য যে কোন সময় আমাদের আমন্ত্রণ পাঠাব।’– তুরস্কের গণমাধ্যমে এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানানো হয়েছে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০১১ সালে তুরস্ক সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সেই সময় তারা আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিল। সীমান্তে সিরিয়ার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সামরিক অভিযানও চালায় তুরস্ক। তাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে- এমন দাবিতে অভিযান চালায় আঙ্কারা।
বার্লিন থেকে ফেরার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরদোয়ান আরও বলেন, দামেস্ক থেকে যেকোনো ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতিদান দেবে আঙ্কারা এবং এক্ষেত্রে যোগাযোগ রক্ষা করায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরাকি প্রধানমন্ত্রী ভূমিকা রাখতে পারেন। ‘পুতিন ও ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় মধ্যস্থতা করার সুযোগ রয়েছে। আমরা সব জায়গায় মধ্যস্থতার কথা বলছি, কেন আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে নয়?’, বলেন এরদোয়ান।
এর আগেও জুনে এরদোয়ান সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করতে আসাদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।সিরিয়ার কর্মকর্তারা অবশ্য বারবার বলছেন যে, তুরস্ক বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে সম্মত হওয়ার পরেই কেবল সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে।
কিউটিভি/আয়শা/০৭ জুলাই ২০২৪,/রাত ১০:৫৪