
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিজবুল্লাহর সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত লড়াই তীব্রতর হওয়ায় ইসরাইলের রাজনীতিবিদ ও দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বাগাড়ম্বর বাড়িয়ে তুলছেন।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের পরিস্থিতি জটিল পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। যুদ্ধের ছায়া লেবাননের গভীর বিভাজনকেও উন্মোচিত করছে।
দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী উপস্থিতি এবং সমর্থন রয়েছে। সেখানে অনেকে গাজাকে সাহায্য করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একটি ফ্রন্ট খোলার ধারণার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে আল জাজিরার জেইনা খোদর বলেছেন, তবে রাজধানী বৈরুতের বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে যুদ্ধের সামান্য চিহ্ন রয়েছে এবং জীবন স্বাভাবিক হিসাবে চলছে।
আল জাজিরার এই রিপোর্টার বলেন, আপাতদৃষ্টিতে উদাসীনতা থাকলেও সামনে কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ইসরায়েল বৈরুতকে চ্যাপ্টা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ সতর্ক করে বলেছে, যদি তাই হয়, তাহলে ইসরায়েলকে ধ্বংসাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এদিকে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র খুবই উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের সংঘাত একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে।
ইসরায়েলে বলেছে, লেবানন সীমান্তে যা হচ্ছে তার দায় হিজবুল্লাহ এবং এর সমর্থক ইরানের।
বিশ্লেষকরা আল জাজিরাকে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েল সামরিক ফোকাস লেবাননে ঘোরাতে পারে।
গত বছরের ৭ অক্টোবরের পরের দিন থেকে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল গোলা বিনিময় করছে। ইসরায়েল এই সময়ে প্রায় ৩০০ জন হিজবুল্লাহ সদস্য এবং ৭০ জনের বেশি বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, হিজবুল্লাহর আক্রমণে তাদের প্রায় ১৫ সৈন্য এবং ১০ জন বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে।
কিউটিভি/অনিমা/১৪ জুন ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:২৬