বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশ্বে দৃষ্টান্ত: সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪ - ০৪:২৩:০৩ পিএম

ডেস্ক নিউজ : শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ-ভারতের নতুন সরকার: সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের নতুন সূচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন তিনি।

শাহরিয়ার আলম বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারণে কোনো চ্যালেঞ্জই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। দুদেশের মধ্যে প্রতিবেশী হিসেবে সম্পর্ক এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, যা পৃথিবীর আর কোথাও নেই। দুদেশের এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশ্বে দৃষ্টান্ত। দুদেশের এ সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে চ্যালেঞ্জ কাটাতে কূটনীতির বাইরে গিয়েও অনেক কাজ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা অর্জন করে দেখিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এখন ন্যায্য হিস্যা আদায় করাটাই কাজ। দুদেশের মধ্যে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করা গেছে। বাকিগুলোও করা যাবে।

সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সবচেয়ে সংবেদনশীল ইস্যু পানি। পানিবণ্টন ইস্যুতে দুদেশ সচিব পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল অনেক আলোচনার পর। এখন সেই জায়গা থেকে সরে পানিবণ্টন ছাড়া অন্য কোনো প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করার অর্থ দুদেশের যৌথ সিদ্ধান্তকে সম্মান না করা।

তিনি বলেন, ফেনি নদীর পানি দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার চিন্তা করেনি। তিস্তার ন্যায্য পানির বণ্টন না পেলে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

কলকাতা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ভারতের টেলিগ্রাফের হেড অফ পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স দেবদীপ পুরোহিত বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে দেখে। এরইমধ্যে ভারতের কাছে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এ দেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক এখন ৩৬০ ডিগ্রিতে রূপান্তরিত হয়েছে।

ভারতের প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী বলেন, দুটি দেশের অর্থনৈতিকভাবে একসঙ্গে কাজ করা দরকার। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। তিস্তা বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তি সংবেদনশীল বিষয়। কোনো দেশই এ চুক্তি করার ক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রাখে।
তিনি বলেন, তিস্তা ইস্যুতে ভারতের বিনিয়োগ নেয়ার আগে পানি ভাগাভাগির বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক সাহাব এনাম বলেন, নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবারী দমনে ভারতকে যেমন বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে, তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকেও ভারতের খেয়াল রাখা দরকার।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সম্পর্কে নতুনত্ব আনা প্রয়োজন। ধারণা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সফরে তিস্তা নিয়ে দর কষাকষি হবে। কিন্তু তিস্তার পানি শেয়ার করা সম্ভব নয়।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৪ জুন ২০২৪,/বিকাল ৪:০৮

▎সর্বশেষ

ad