
ডেস্ক নিউজ : ইসলামের প্রাথমিক যুগে পবিত্র নগরী মক্কায় আজান ছাড়াই নামাজ পড়া হতো। প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনায় হিজরত করে মসজিদ নির্মাণ করলেন তখন মুসলমানদের নামাজে অংশগ্রহণের জন্য একত্রিত করতে একটি সুনির্দিষ্ট সংকেত নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন এবং সাহাবাদের থেকে পরামর্শ চাইলেন।
সাহাবাগণ পরামর্শ দিলেন
সাহাবাগণ নামাজে অংশগ্রহণ একত্রিত হওয়ার জন্য সংকেত ঠিক করতে পরামর্শ সভায় বসলেন। পরামর্শ সভায় চারটি প্রস্তাব উপস্থাপন হয়।
দুই. আগুন প্রজ্বলন।
তিন. শিঙা বাজানো।
চার. ঢোল বাজানো।
একইভাবে ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.)ও ২০ দিন আগেই স্বপ্নযোগে আজান শিখেছিলেন। কিন্তু তিনি তা গোপন রেখেছিলেন। এরপর আবদুল্লাহ ইবনে জায়িদ (রা.) স্বপ্নের বৃত্তান্ত বলার পর) তিনিও তার স্বপ্নের কথা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালেন।
আজান ও ইকামত
প্রথমে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (চারবার), অতঃপর আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’ (দুবার), তারপর আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্লাহ, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রসুল’ (দুবার), তারপর হাইয়া আলাস সালাহ, ‘নামাজের জন্য আসো’ (দুবার) ও হাইয়া আলাল ফালাহ, ‘কল্যাণের জন্য আসো’ (দুবার); পরিশেষে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (দুবার) ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’ (একবার)।
ফজরের নামাজের আজানে পঞ্চম বাক্যের (হাইয়া আলাল ফালাহ) পর বলতে হয়, আস সালাতু খায়রুম মিনান নাওম, ‘ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম’ (দুবার) আর ইকামতে এই স্থানে বলতে হয় ‘কদ কমাতিস সালাহ’, ‘জামাত প্রস্তুত’ (দুবার)।
কিউটিভি/আয়শা/২৯ মে ২০২৪,/বিকাল ৫:০৫