ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

তাকবিরে তাশরিক কী ও কখন পড়তে হয়?

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ - ০৫:৩৭:০৯ পিএম

ডেস্ক নিউজ : তাশরিকের দিনগুলোতে যে তাকবির পড়ে তাকে তাকবিরে তাশরিক বলে। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ হতে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্তের সময়কে তাশরিকের দিন ধরা হয়। এই ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর কোনো কথা বা সুন্নত নামাজ না পড়ে একবার করে তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব।

জামাতে নামাজ পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ বা নারী, মুকিম বা মুসাফির সকলের ওপর এটি ওয়াজিব।

তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে, 

الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلا الله والله أكبر، الله أكبر ولله الحمد

আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ্

 

তাকবিরে তাশরিক সংক্রান্ত কিছু মাসায়েল
ক. প্রত্যেক মুসল্লির জন্য জিলহজের ৯ তারিখের ফজর হতে ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজ আদায় করে সালাম ফিরানোর সঙ্গে সঙ্গে উচ্চস্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব।
(আদ্দুররুল মুখতার ৩/১৭৭-১৭৮)
খ. নারীরা এই তাকবিরে তাশরিকটি নিচু স্বরে আদায় করবেন। উচ্চস্বরে নয়। (হাশিয়া তাহতাবী ১/৩৫৭)
গ. ইমাম তাকবির বলতে ভুলে গেলে মুক্তাদিরা ইমামের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরা তাকবির বলবেন। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২)
ঘ. প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালামের পর পরই কোনো কথাবার্তা বা নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগেই তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। (রদ্দুল মুহতার ২/১৮০)
ঙ. কোনো সময় সবাই বা কেউ কেউ তাকবির বলতে ভুলে গিয়ে মসজিদ থেকে বের না হয়ে গেলে তাকবির আদায় করে নিতে হবে। আর যদি মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে এই ওয়াজিব ছুটে যাবে। এই ওয়াজিবের কোনো কাজা নেই এবং ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি গোনাহগার হবে। (মাবসুত সারাখসী ২/৪৫)
চ. আইয়ামে তাশরিকের কোনো নামাজ কাজা হয়ে গেলে ওই দিনগুলোর মধ্যে তার কাজা আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব। কিন্তু এই কাজা পরবর্তী অন্য সময় আদায় করলে বা আইয়ামে তাশরিকের আগের কাজা নামায ওই দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব নয়। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৬৪)
ছ. কোনো ব্যক্তি নামাজে মাসবুক হলে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে নিজের নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরিক বলতে হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২)

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৫ মে ২০২৪,/বিকাল ৫:৩৪

▎সর্বশেষ

ad