ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

আউলিয়া কেরামদের ইসলাম প্রচারে অনন্য ভূমিকা

Anima Rakhi | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ - ০৪:৩১:৫৬ পিএম

ডেস্ক নিউজ : আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে আত্মনিবেদিত পীর ও আউলিয়া  কেরাম ইসলাম প্রচারকে তাদের মূল লক্ষ্যরূপে নির্ধারণ করেন। তারা ওয়াজ-নসিহত, তালিম-তালকিন এবং জাহেরি-বাতেনি পন্থায় ইসলাম প্রচার করেন। মানবসেবার মাধ্যমে আউলিয়ায়ে  কেরাম মানুষের মনে ঠাঁই করে নেন। তারা ইসলামের অমূল্য বাণী সংবলিত বই-পুস্তক রচনা করেন। উপযুক্ত খলিফা ও প্রতিনিধি তৈরি করে তাদের মাধ্যমে দূর-দূরান্তে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দেন।

আউলিয়ায়ে কেরাম প্রিয়নবী (সা.)-এর যোগ্য ওয়ারিশ ও উত্তরাধিকার। প্রিয়নবী (সা.)-এর ইলম ও জ্ঞানের তারা ধারক-বাহক। ফলে তাঁর আনীত ইসলামের প্রচারে তাদের নিরলস চেষ্টা ও সাধনা সর্বজনস্বীকৃত। আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর জীবন ইতিহাস পর্যালোচনায় স্পষ্ট হয় যে, ইসলাম প্রচারে তাঁর সাধনা কত বেশি বিস্তৃত ছিল। তিনি নিজে জাহেরি ও বাতেনি ইলমের সমুদ্র ছিলেন।

তিনি বাগদাদের নিজামিয়া মাদরাসায় অধ্যাপনা করেছেন, প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন, মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি খানকাকেন্দ্রিক তালিম-তালবিয়াতের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটিয়েছেন। আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) ইসলামের সৌন্দর্য, বৈশিষ্ট্য ও তত্ত্ব প্রচারে বহু বই-পুস্তক রচনা করেছেন। হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.) শুধু ইমান-ইসলামের প্রচারের স্বার্থেই তাঁর জন্মস্থান ত্যাগ করে আজমিরে এসে বসবাস করেছেন। রাজা পৃথ্বীরাজের প্রবল প্রতাপকে ধূলিসাৎ করে তিনি লাখ লাখ অমুসলিমকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসেন। তাঁর দরবার ও খানকাকে কেন্দ্র করে তালিম ও তালকিনকে অনুসরণ করে এখনো ইসলামের প্রচার ঘটছে।

সিলেট হযরত শাহজালাল ইয়েমেনি, চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামী, রাজশাহীতে শাহ মখদুমসহ আউলিয়া  কেরামের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। চলমান সময়ে যখন নানারকম বাড়াবাড়ি, সীমা লঙ্ঘন ও উগ্রপন্থা ইসলাম ও মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে কালিমা লেপন করছে তখন পীর, মুর্শিদ ও ওলি-আউলিয়া ইসলামের শান্তির বাণী, মানবতার বাণী, অহিংস-অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা প্রচার করে যাচ্ছেন অবিরাম অবিরত। তাদের এ আহ্বান, প্রচার-সাধনা চলমান থাকুক অনন্তকাল। আমিন।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

কিউএনবি/অনিমা/২২ এপ্রিল ২০২৪,/বিকাল ৪:৩১

▎সর্বশেষ

ad