
ধর্ম ডেস্ক : তবে ওই অবস্থায় একজন মুসলিম নারী হিসেবে রোজার সম্মানার্থে ইফতার পর্যন্ত পানাহার থেকে তার বিরত থাকা উচিত। পরে এ রোজা কাজা আদায় করে নিতে হবে তাকে।
পিরিয়ডের দিন থেকে শুরু করে পিরিয়ড শেষ পর্যন্ত রমজানের সম্মানার্থে অন্যদের সামনে পানাহার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে তাকে। এটা তাকওয়ার পরিচায়ক। (সুরা হজ : ৩২)।
ইসলাম ধর্মবিদরা মনে করেন, দিনের বেলায় পিরিয়ড শেষ হলে অবশিষ্ট সময় থেকে ইফতার পর্যন্ত খাবার ও পানি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবার ও পানি গ্রহণের এ বিরতি রোজা হিসেবে নয়, বরং তা রোজার সম্মানার্থে করতে হবে।
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীরা রোজা না রাখতে পারলেও ইফতার তৈরি, দোয়া দরূদ পড়া, তাসবিহ-তাহলিল—সবই স্বাভাবিকভাবে করবেন। এসময় সেহরি-ইফতারেও শরিক হওয়া যাবে। তবে অবশ্যই নারীদের এসময় নিজের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
নিফাস তথা সন্তান প্রসবকারী নারীর বিধান পূর্বোক্ত হায়েজ বা পিরিয়ড চলাকালীন নারীর বিধানের মতোই। তিনিও পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত রোজা রাখতে পারবেন না।
আধুনিক যুগে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যায়। কোনো নারী যদি ওষুধ খেয়ে রোজা রাখতে চান, তা হলে তার রোজা হয়ে যাবে। তবে প্রাকৃতিক নিয়মে ব্যত্যয় ঘটানো অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। তাই আল্লাহর স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী চলা এবং ওষুধ গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
কিউটিভি/আয়শা/১৭ মার্চ ২০২৪,/দুপুর ২:২১