
ডেস্ক নিউজ : ব্যবসায়ীরা বলছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হঠাৎ পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আরও বেড়ে গেছে কিছু পণ্যের দাম। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই নাগালের বাইরে আলু-পেঁয়াজ, মাছ-মাংস, ডিমসহ অনেক পণ্যের দাম। দাম বাড়ার বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার যায় ছোট খাটো দোকানিদের কাছে। তাদের করা হয় জরিমানা। অথচ সরকার উৎপাদন পর্যায়ে নজরদারি করে না।’
দীর্ঘদিন ধরেই বাজারের এমন বেহাল দশায় জিম্মি ক্রেতারা। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে বেশিরভাগ পণ্যের দাম। কাঁচা মরিচ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড, পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে পানি, ডিম কিনতে হিমশিম, গরুর মাংসে হাসফাঁস, আলুর দামে দম বন্ধ, অচেনা চিনি এবং তেল নিয়ে তেলবাজির সঙ্গে সবজির তেলেসমাতিও দেখেছে দিশাহারা ক্রেতা। এভাবেই কেটে গেছে আরও একটি বছর। একই সঙ্গে সরকারের মেয়াদ শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে বাজারেও।

দাম বাড়তি থাকার বিষয়ে এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। গতকাল তা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। যেদিন বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকে সেদিন দাম একটু কম থাকে। পরিবহণ ভাড়া বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আরেকজন বিক্রেতা বলেন,পণ্যের সরবরাহ আছে। কিন্তু নির্বাচনের কারণে গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি। আগে যে গাড়ির ভাড়া ছিল ১৮ হাজার টাকা। এখন সেটি বেড়ে ঠেকেছে ৪২ হাজার টাকায়।
অন্যদিকে ভোক্তাদের প্রত্যাশা, দাম কমাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে নতুন সরকার। এক ভোক্তা জানান, সরকার সবকিছুর উন্নয়ন করেছে ঠিক আছে। কিন্তু বাজারে তো সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। শনিবার (৬ জানুয়ারি) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিনের ব্যবধানে আলুর কেজি ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা। একদিন আগেই ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া নতুন পেঁয়াজের দাম ঠেকেছে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি শিম, বেগুন ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। মাঝারি সাইজের ফুলকপির দাম ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। যা এক বছর আগে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা।
কিউটিভি/আয়শা/০৬ জানুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৪:৫৪






