
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ও শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুই দিনব্যাপী দিল্লিতে এসসিওর প্রতিমন্ত্রীদের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চীনাভিত্তিক গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানায়, সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লীতে আসেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সম্মেলনের এক ফাঁকে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে সংঘর্ষের পর প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল লি শাংফু।
বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এমনকি, চলমান সম্পর্কেরও উন্নতি হবে না। বৈঠকে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা নতুনভাবে শুরুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে, নয়াদিল্লী তা খারিজ করে জানায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ওই প্রস্তাব বিবেচিত হতে পারে, তার আগে নয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে রাজনাথ সিং স্পষ্ট জানিয়েছেন, এলএসি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের একমাত্র শর্ত। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকলেই দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হওয়া সম্ভব। এদিকে, সীমান্তে স্থিতিশীলতা রয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। একইসঙ্গে সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব ভুলে ভারত চীনের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বেইজিং।
এর আগেও সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে একাধিক বৈঠক করেছে ভারত ও চীন। শেষ বৈঠক হয় রোববার (২৩ এপ্রিল), চুশুল-মলডো সীমান্তে, এটি ছিল ১৮তম বৈঠক। আলোচনায় দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি বজায় রাখতে সম্মত হয়। এরপরই দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কিউটিভি/আয়শা/২৯ এপ্রিল ২০২৩,/রাত ৮:০২