আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করে মানুষ অন্যের যথাযথ অধিকার পূরণ করলে আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করেন। অনেক ক্ষেত্রে অলৌকিকভাবে তাদের চাহিদা মেটানো হয়। যেমন—হাদিসে এক ব্যক্তির নাম ধরে তার বাগানে পানি বর্ষণের কথা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘এক লোক নিজ ভূমিতে কাজ করছিল। এমন সময় সে মেঘকে বলতে শুনে, অমুকের বাগানে পানি দাও। এরপর সেই মেঘ চলে যায় এবং একটি প্রস্তর ভূমিতে পানি সংরক্ষণ করে। অতঃপর একটি নালা দিয়ে সেই পানির প্রবাহ শুরু হয়। সেই লোক ওই পানির পেছন পেছন চলতে থাকে। তখন এক ব্যক্তিকে এক বাগানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। সে নিজের কোদাল দিয়ে পানির গতি পরিবর্তন করে দিচ্ছিল। পানির পেছনে আসা ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর বান্দা, তোমার নাম কী? তখন সে ওই নাম বলল যা মেঘের আওয়াজে শোনা গিয়েছিল।

ডেস্ক নিউজ : মহান আল্লাহ বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা। তিনি সব সৃষ্টির নিয়ন্ত্রক। তাই মানুষ আল্লাহর নির্দেশনা সুষ্ঠুভাবে পালন করলে তিনি মানুষকে উত্তম প্রতিদান দেন এবং জীবন-জীবিকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘খাবারের প্রতি আসক্তির পরও তারা (মুমিনরা) আহার করায় অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দিদের। (তারা বলে) আমরা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তোমাদের আহার করাচ্ছি, আমরা তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কিছুই চাই না।’ (সুরা দাহর, আয়াত : ৮-৯)
উল্লিখিত হাদিস থেকে আয়-রোজগারের নির্দিষ্ট পরিমাণ নিয়মিত দানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তা ছাড়া দানকারী ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন এক ফেরেশতা কল্যাণের দোয়া করেন। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রতিদিন সকালবেলা দুজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হন। তাদের একজন দোয়া করেন, হে আল্লাহ আপনি দানকারীকে প্রতিদান দিন। অন্যজন বলেন, হে আল্লাহ, আপনি কৃপনকে ধ্বংস দিন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪৪২)
মূলত আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের সব কাজের দায়িত্বশীল। যারা তার নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করে তিনি তাদের সব প্রয়োজন পূরণ করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করেন আল্লাহ তার পথ করে দেন। এবং তিনি এমন উৎস থেকে তাকে রিজিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করেনি। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ অবশ্যই তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেন…।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ২-৩)
কিউটিভি/আয়শা/২৯ এপ্রিল ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:৫৫