
ডেস্ক নিউজ : তাবলিগ জামাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কিছু পরিভাষা প্রচলিত। এটার বাংলা পরিভাষা অনেকেই জ্ঞাত নয়, এ কারণে বিষয়টি নিয়ে অনেক জিজ্ঞাসা। পাঠকের কথা বিবেচনা করে এখানে অতি ব্যবহৃত পরিভাষাসমূহ উপস্থাপন করা হলো। মনে রাখা প্রয়োজন, ভারতবর্ষে তাবলিগ জামাতের উৎপত্তি, তাদের ভাষা ছিল উর্দু। সে কারণে উর্দুর আধিক্য লক্ষ করা যায় প্রচলিত পরিভাষায়। পাশাপাশি কিছু আরবি শব্দও রয়েছে।
ইজতেমা : সমাবেশ, মহাসমাবেশ।
আমির : দলপতি, নেতা।
রাহবার : পথপ্রদর্শক।
মামুর : আমিরের অনুসরণকারী।
মুতাকাল্লিম : কথক, বক্তা।
গাশত : ভ্রমণ, ঘোরাফেরা করা, দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে যাওয়া।
উমুমি গাশত : দলবদ্ধভাবে মানুষের মাঝে দ্বীনের দাওয়াতে গমন।
খুসুসি গাশত : বিশেষ কাউকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য বের হওয়া।
তাশকিল : গঠন, রূপদান। অর্থাৎ দ্বীন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব এবং ফজিলত বলে তাবলিগের কাজের জন্য বের হতে উৎসাহ দেওয়া।
তালিম : শিক্ষা (শিক্ষার আসর)।
আম বয়ান : সবার উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতা।
খাস বয়ান : বিশেষ কোনো শ্রেণির জন্য প্রদত্ত বক্তৃতা।
তায়ারুফি বয়ান : (যেকোনো স্থানে জামাত যাওয়ার পর দেওয়া) পরিচিতিমূলক বয়ান।
একরাম : সম্মান দেখানো, সহযোগিতা বা খেদমত করা।
ইস্তেকবাল : অভ্যর্থনা।
খেদমত : সেবা করা (জামাতের সাথীদের খাবারসহ বিভিন্ন আয়োজনে দায়িত্ব পালন)।
মাশওয়ারা : পরামর্শ।
সামানা : আসবাবপত্র।
খিত্তা : টুকরো জায়গা, এলাকা (ইজতেমা মাঠের এলাকা নির্ধারক নাম)।
চিল্লা : ৪০ দিনের জন্য বিভিন্ন মসজিদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া।
তিন চিল্লা : চার মাস মেয়াদে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়া।
সাল : এক বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো।
জোড় : বিভিন্ন স্তরের সাথীদের বিশেষ সম্মেলন।
শবগুজারি : তাবলিগের মারকাজে (আল্লাহর রাস্তায়) রাতযাপন।
নুসরত : সাহায্য করা (বহিরাগত জামাতের কাজে সহযোগিতা করা)।
উসুল : আদায় করা (তাবলিগি সফরের জন্য কাউকে বের করে আনা)।
খুরুজ : তাবলিগের কাজে বের হওয়া।
মোজাকারা : পরস্পর আলোচনা।
তাকাজা : দ্বীনের বিভিন্ন প্রয়োজনে নিজের জান, মাল ও সময় ব্যয় করে ওই প্রয়োজন পূরণ করা।
কিউটিভি/আয়শা/১২ জানুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৬:১৫