ব্রেকিং নিউজ
আই হ্যাভ আ প্ল্যান : তারেক রহমান সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার : তারেক রহমান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের খবর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনে বিতর্কিতদের প্রশ্রয় : শংকিত জেলাবাসী গণতন্ত্রের জন্য চলা সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব : মির্জা ফখরুল ঢাকায় এমপি প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মমতাজ হোসেন লিপিকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে রৌমারীতে মশাল মিছিল আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামঃ অভিযোগের ঝড় খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি

যে সাহাবির কবরে নেমেছিলেন রাসুল (সা.)

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ - ০৭:২৪:৩৭ পিএম

ডেস্ক নিউজ : আবদুল্লাহ জুল-বিজাদাইন তিনি ছিলেন সৌভাগ্যবান সাহাবিদের একজন। অল্প কয়েকজন সাহাবাদের মধ্যে একজন, যাদের কবরে নেমে স্বয়ং মুহাম্মাদ (সা.) লাশ দাফন করেছেন। ইসলাম গ্রহণের আগে জুল-বিজাদাইনের পরিচিত ছিল আবদুল উজ্জা নামে। ছোটবেলায় তাঁর পিতা মারা যান, তিনি তাঁর চাচার কাছে বড় হন।

ইসলাম গ্রহণের পর নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর নাম পরিবর্তন করে আবদুল্লাহ রেখে দেন এবং পরবর্তী সময়ে তিনি আবদুল্লাহ জুল-বিজাদাইন নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি সেই সাহাবি, যিনি ইসলাম গ্রহণ করার জন্য তাঁর সব সম্পত্তি ও বাসস্থান হারিয়েছিলেন।

আবদুল্লাহ জুল-বিজাদাইন ইসলাম গ্রহণের আগে থেকেই ইসলাম ও মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। তিনি মনে মনে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরত করার পর আবদুল্লাহ তার চাচার কাছে গিয়ে জানতে চান, তিনি ইসলাম গ্রহণ করবেন কি-না? তাঁর চাচা ইসলাম গ্রহণ করতে অসম্মতি জানান। জুল-বিজাদাইন তাঁর চাচার কাছে নিজের ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ইসলাম গ্রহণের বাসনা পোষণ করেন, সে কথাও জানিয়ে দেন। তাঁর চাচা এ ঘটনায় মনঃক্ষুণ্ন হন, এ জন্য জুল-বিজাদাইনকে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং তাকে যেসব উট, ছাগল, ভেড়া ও ঘোড়ার মালিক বানিয়েছিলেন, সেগুলোও ফেরত নিয়ে নেন। এমনকি জুল-বিজাদাইনের সব কাপড়ও কেড়ে নেন।

এরপর জুল-বিজাদাইন তাঁর মায়ের থেকে অল্প কিছু কাপড় নিয়ে লজ্জাস্থান ঢেকে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাসুল (সা.) তাঁর পুরো ঘটনা শুনে তাঁকে আসহাবে সুফফার অন্তর্ভুক্ত করে নেন। সেখানেই তার থাকা ও খাবারের ব্যবস্থার করে দেন। আসহাবে সুফফার অন্তর্ভুক্ত হয়ে তিনি দীর্ঘসময় কোরআন তিলওয়াত করতেন। তিনি উচ্চ স্বরে কোরআন তিলওয়াত করতে পছন্দ করতেন। তিনি রাসুলের সঙ্গে তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাবুক যুদ্ধে কোনো আর্থিক অবদান রাখতে পারেননি। তবে তিনি রাসুল (সা.)-এর কাছে এই যুদ্ধে শহীদ হওয়ার দোয়া করতে বলেন। তখন রাসুল (সা.) তার জন্য উল্টো দোয়া করেন, যেন তিনি এই যুদ্ধে কোনোভাবেই শাহাদাতবরণ না করেন। তিনি এই যুদ্ধে শাহাদতবরণ করেননি; বরং তিনি এই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তিনি তাবুক যুদ্ধের অল্প কিছু দিন পরেই জ্বরাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে রাতের বেলায় দাফন করা হয়, তার কববের পাশে আলোর বাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিলাল (রা.), আর কবরের ভেতরে নেমেছিলেন স্বয়ং রাসুল (সা.)। আর লাশ বহন করেছিলেন আবু বকর ও ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)। ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) মাত্র কয়েকজন ব্যক্তির কবরে নেমে তাদের লাশ দাফন করেছেন, এর মধ্যে আবদুল্লাহ জুল-বিজাদাইন একজন। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৭ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:২১

▎সর্বশেষ

ad