ব্রেকিং নিউজ
আই হ্যাভ আ প্ল্যান : তারেক রহমান সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার : তারেক রহমান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের খবর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনে বিতর্কিতদের প্রশ্রয় : শংকিত জেলাবাসী গণতন্ত্রের জন্য চলা সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব : মির্জা ফখরুল ঢাকায় এমপি প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মমতাজ হোসেন লিপিকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে রৌমারীতে মশাল মিছিল আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামঃ অভিযোগের ঝড় খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি

নবীযুগে মসজিদে নববীর দ্বিতীয় মুয়াজ্জিন

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ - ০৪:০৫:৩০ পিএম

ডেস্ক নিউজ : মসজিদে নববীর দ্বিতীয় মুয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)। ইসলামের প্রাথমিক যুগে তিনি মুসলমান হন এবং মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। তিনি রাসুল (সা.)-এর চার মুয়াজ্জিনের অন্যতম। তিনি ছিলেন অন্ধ।

তাঁর চর্মচক্ষু ছিল না বটে, তবে অন্তর্চক্ষু ছিল শক্তিশালী। মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল খুব বেশি। রাসুল (সা.) বেশির ভাগ যুদ্ধের (১৩টি) সফরে তাঁকে নিজের স্থলাভিষিক্ত করে যান। সে সময় তিনি মসজিদে নববীর ইমামতের দায়িত্বও পালন করতেন। (আল-ইসতিআব : ৩/৯৯৭)

বলা হয় সুরা ‘আবাসা’ তাঁর উচ্চ মর্যাদার সাক্ষী। একবার রাসুল (সা.) কুরাইশদের শীর্ষস্থানীয় কতিপর নেতার সৌজন্যে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করেন। ওই বৈঠকে তিনি তাদের সামনে ঈমান ও ইসলামের কথা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করছিলেন। এ অবস্থায় আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) বৈঠকে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন, ওগো আল্লাহর রাসুল, আমাকে তা শিক্ষা দিন, যা আল্লাহ আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন। অন্ধ হওয়ার কারণে বৈঠকের মান-অবস্থান কিছুই উপলব্ধি করতে পারেননি। বারবার একই আবেদন করতে লাগলেন। রাসুল (সা.) একটু বিরক্ত হয়ে ভ্রু কুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) কোনো জবাব না পেয়ে চলে গেলেন।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আল্লাহ তাআলা সুরা আবাসার প্রথম দিকের বেশ কিছু আয়াত নাজিল করলেন, যাতে প্রভু তাঁর হাবিবকে সতর্ক করলেন। এরপর যখনই আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) রাসুল (সা.)-এর দরবারে আসতেন, রাসুল তাঁকে এই বলে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতেন, ‘ধন্যবাদ হে ওই ব্যক্তি, যার কারণে আল্লাহ আমাকে ভর্ত্সনা করেছেন। ’ এরপর তিনি নিজের চাদর বিছিয়ে তাঁকে পাশে বসাতেন। (তাফসিরে জালালাইন : পৃষ্ঠা ৪৯০)

অন্ধত্বের কারণে আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)- এর পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্ভবপর না হলেও তীব্র আগ্রহ ও বাসনায় তাঁর হৃদয় ছিল পরিপূর্ণ। খলিফা ওমর (রা.)-এর খেলাফতামলে ১৪ হিজরি সনে সংঘটিত হয় কাদেসিয়ার যুদ্ধ। সে যুদ্ধে তিনি মুসলিম-বাহিনীর পতাকা বহনের দায়িত্ব নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। প্রচণ্ড রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অসংখ্য শহীদের প্রাণের বিনিময়ে তৎকালীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ পৌত্তলিক সাম্রাজ্য ‘পারস্য’ মুসলমানদের পদানত হয়। উড্ডীন হয় সে ভূমিতে ইসলামের সোনালি পতাকা। অসংখ্য শহীদের একজন ছিলেন এই পতাকাবাহী অন্ধ সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)। যুদ্ধশেষে দেখা গেল তিনি রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মুসলমানদের পতাকাটি জড়িয়ে ধরে মাটিতে পড়ে আছেন। ’ (আল-ইসতিআব  : ৩/৯৯৮, আসহাবে রাসুলের জীবনকথা : ১/১৮৪ ‍

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৬ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:৫৮

▎সর্বশেষ

ad