
ইচ্ছাবৃত্তির আত্মআলাপ
_______________
আমি প্রতিদিনই ওই দূরে থেকে ঘন কিন্তু কাছে গেলে পাতলা কাশবনের পাশ ঘেঁষা রাস্তা ধরে যাতায়াত করি। মাঝেমধ্যে ইচ্ছা করে রিকশা থামিয়ে একটা কাশফুল ছিড়ে আনি। কিন্তু কখনোই সেই ইচ্ছা পূরন করি না। কেনো করবো?
কি কারনে? অযথা সময় নষ্ট। এসব চিন্তা তখন প্রকট হয়ে ওঠে। কারন স্বভাবগত ভাবেই আমরা সাধারনত একান্ত নিজের ইচ্ছা মিটাই কম। আমরা মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করি, সেখানেও কিন্তু শুধু নিজের একান্ত মনের ইচ্ছা থাকে না। পারস্পরিক অনেকগুলো ইচ্ছে মিলে সবার ইচ্ছা পূরন করে একটা আড্ডার বৈঠক হয়।
কখনো কারো অনেক ঝাক্কি সামলে সেই আড্ডায় আসতে হয়, কেউ আবার চিলিং মুডে রিলাক্সেই আসে। তবে আসার পর সবারই ভালো লাগে। এইটা কে বলে মনে মনে ফর্মাল কিন্তু উপরে ইনফর্মাল।
পারিবারিক দাওয়াত বৈঠক সবকিছুই এমনই। একান্ত নিজের বোলে কোথাও কিছু নাই। আছে পরিবার, আছে স্বজন, আছে প্রতিবেশী। Weeek end এ ঘুরতে গেলে আছে স্বামী/স্ত্রী/বাচ্চা..। সবাই সবাইকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা ভালো থাকি। এই ভালো থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়।
এই মেইনস্ট্রিমের ফাকেঁও কেউ কেউ আবার কিছু সম্পর্কের মধ্যে কমফোর্ট জোন তৈরী করেন। অনেকগুলো ভাইবোন থাকলে স্পেশালি কোনো এক বোন বা ভাইয়ের সাথে বেশি সখ্যতা। অনেকগুলো খালা মামা ফুপু চাচা, ভাগ্নে, ভাস্তি থাকলে নির্দিষ্ট কারো প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়া। একমাত্র কেউ থাকলে সেই একে’র প্রতি মমত্ববোধ বেশি পালন পালন করা। এগুলো সব ই জীবনের অংশ।
কি যেনো একটা ভাবতে গিয়ে সব ভাবনা গুলো মিলেমিশে জট পাকিয়ে এমন একটা অদ্ভুত লেখা জন্মগ্রহন করলো। তাই এই লেখার নাম দিলাম অক্টোপাস লেখা।
লেখিকাঃ ফায়াজুন্নেসা চৌধুরী, শিক্ষক, ডিপার্টমেন্টে অফ সিএসই, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
বিপুল/০৩.১০/২০২২/দুপুর ১.৫৮