
বিশেষ প্রতিবেদকঃ তারুণ্যের উদ্দীপনায় ভরপুর একজন ডালিয়া লাকুরিয়া এখন বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীদের নিকট একটি পরিচিত মুখ। সোয়াল মিডিয়া সহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমগুলোতে তাঁর নিয়মিত সরব পদচারণা। প্রতি মুহূর্তে তিনি বিএনপির বিভিন্ন কর্মকান্ড, কর্মসূচি, দলীয় রাজনীতির বক্তব্য, চিত্র, ভিডিও আপডেট দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যুক্তরাজ্য ছাড়াও সমগ্র ইউরোপ জুড়ে বিএনপির সকল কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ গ্রহণ করে থাকেন। তাঁর এই বিরতিহীন, নিরন্তর এই রাজনৈতিক কর্মসূচি, প্রচারণা মূলক কর্মকান্ড তাঁকে দুনিয়া জোড়া এক পরিচিতি এনে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক ডালিয়া লাকুরিয়াকে এই অবস্থানে আসতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। পরিশ্রম করতে হয়েছে প্রতিনিয়ত। প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি হয়েছিল অনেক। সব বাঁধা বিপত্তি এড়িয়ে তিনি ছিলেন অবিচল তাঁর কর্মকান্ডে। নিজেকে তিনি বিএনপির প্রচার যন্ত্রে পরিণত করেছেন। বিএনপি সম্পর্কে সর্বশেষ আপডেট জানতে চাইলে তাঁর ফেসবুক আইডি, ফেসবুক পেজ, ডিএলটিভি অনলাইন.কম অথবা তাঁর টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রামে প্রবেশ করলে নিমিষেই সব সংবাদ, তথ্য, চিত্র, ভিডিও পেয়ে যাবেন।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী লাকুরিয়া পরিবারের কন্যা ডালিয়া লাকুরিয়া ২০০১ সালে প্রবাসিনী হন। প্রথমেই তিনি ইতালি গমন করেন। এরপরে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পাড়ি জমান। ২০১৪ সালে তিনি লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে লন্ডন, বিএনপির রাজনীতিতে তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির প্রাণপুরুষ তারেক রহমানের অবস্থান জনিত কারণে যুক্তরাজ্য বিএনপি শাখা একটি শক্তিশালী ইউনিটে পরিণত হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৫ই ডিসেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছসেবক দল যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সভাপতি মনোনীত হন ডালিয়া লাকুরিয়া। এরপরে ২০১৯ সালের ১৫ই নভেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন।
ডালিয়া লাকুরিয়া শুধু তাঁর নিজ দলীয় পদবীর মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে বিএনপি দলীয় কর্মকান্ড সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে অনলাইন একটিভিস্ট হিসাবে কাজ শুরু করেন। নিজ নাম ”ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া” ( https://m.facebook.com/dalialakuria99) নামে ফেসবুক পেজের এখন লাইক ও ফলোয়ার্স সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯২ হাজারের উপরে। প্রতি মুহূর্তে বিএনপির দেশ বিদেশের কর্মসূচি উপস্থাপন হচ্ছে এখানে। এছাড়াও তাঁর নিজ নামীয় ডিএলটিভি অনলাইন.কম অথবা তাঁর টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম এক্টিভ থাকছে সর্বক্ষণ।
ডালিয়া লাকুরিয়া প্রচার সম্পর্কিত তাঁর কর্মকান্ড সম্পর্কে বলেন, আমি মনে করি সুস্থ্য রাজনীতির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, সাধারণ মানুষের স্বার্থ ও কল্যাণ নিয়ে কাজ করা,। বিরোধী দলের রাজনীতির উদ্দেশ্য, সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলা এবং সরকারের ভুল-ত্রুটি এবং দেশ ও জনস্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রকৃতি হতে হবে উদার-নৈতিক, সংকীর্ণমনা নয়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হতে হবে সৃজনমুখী, হতে হবে সংবেদনশীল, কঠোরমনা নয়। সেইসাথে রাজনীতিবীদদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে জনগণের আমানত হিসেবে গণ্য করতে হবে। কেননা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিজেদের প্রভাব, বৈভব বা প্রতিপত্তি অর্জনের মাধ্যম হতে পারে না। এমনকি কোথাও কোনো পর্যায়ে কোনো বিচ্যুতি ঘটলে ঠিক তখনই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিত্যাগ করার মানসিকতা রাজনীতিবীদদের অর্জন করতে হবে। মনে রাখা দরকার যে, রাজনীতির সঙ্গে “নীতি” কথাটা যুক্ত আছে,। নীতি হলো কিছু আদর্শ নিয়ম-কানুন। আর যেদিন থেকেই রাজনীতির খাতায় নিজের নাম লিখেছি, সেদিন থেকেই নীতি-নৈতিকতার চর্চা করে যাচ্ছি। কারণ রাজনীতি দেশ ও মানুষের সেবা করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা। দেশ-জাতি, মানুষের কল্যাণই এখন আমার মূল উদ্দেশ্য ও ভাবনা। আর এ উদ্দেশ্য, ভাবনা এবং সঠিক নীতি-নৈতিকতার মানসিকতা নিয়েই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জনগণের স্বার্থকে সবার উপরে স্থান দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে চলবো, এবং চলবো সব ধরনের ভয়-ভীতি, লোভ-লালসা সহ সকল অশুভ শক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই ইনশাআল্লাহ।
বিএনপির নেতা কর্মীদের মাঝে ডালিয়া লাকুরিয়া এখন একটি পরিচিত মুখ, প্রতিবাদের মুখচ্ছবি। ডিজিটাল প্রচার মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে খুব দ্রুত তিনি পৌঁছে গেছেন জনগণের দোরগোড়ায়। ডালিয়া লাকুরিয়া এখন একজন ”লক্ষ কোটি জাতীয়তাবাদীদের মিডিয়া স্পন্দন”।
কিউএনবি/বিপুল/২১.০২.২০২২/ রাত ৮.৩০