
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার রূপকার ,শেষকৃত্যে অংশ নিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।ক্রেমলিন জানিয়েছে, শনিবার অনুষ্ঠিতব্য সর্বশেষ সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভের শেষকৃত্যে পুতিন তার সময়সূচির সীমাবদ্ধতার কারণে যোগ দিতে পারবেন না। তবে মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে মিখাইল গর্বাচেভের প্রতি পুতিন শেষশ্রদ্ধা নিবেদন করেন বলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পুতিন ব্যস্ত থাকায় আজই শেষশ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পেসকভ আরও জানান, গার্ড অফ অনার দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গর্বাচেভের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার গর্বাচেভের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিখাইল গর্বাচেভের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। মিখাইল গর্বাচেভ বিশ্বে নন্দিত ও নিন্দিত দুটোই। এক সময়ের কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন গর্বাচেভ। রাশিয়ায় দীর্ঘসময় ধরে চলা সমাজতন্ত্রের পতন হয়েছিল তার নেতৃত্বেই। ওই পতনের মধ্য দিয়ে বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটেছিল।
তাই সমাজতন্ত্রবাদীদের কাছে নিন্দিত গর্বাচেভ স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য নন্দিতও বটে। অনেক রুশ গর্বাচেভকে ঘৃণা করেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরাশক্তি থেকে রাশিয়াকে দুর্দশাগ্রস্ত দেশের কাতারে নিয়ে আসার জন্য অনেক রুশ এখনও গর্বাচেভকে ক্ষমা করতে পারেন না। সোভিয়েত পতনের পর নিজেও ক্ষমতা হারান গর্বাচেভ। এর পর পশ্চিম দেশগুলোতে বক্তৃতা দিয়েই সময় পার করতেন। ১৯৯৯ সালে স্ত্রী রাইসা গর্বাচেভের মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েন তিনি।
১৯৯৬ সালে পরিবর্তিত রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন গর্বাচেভ, তবে ভোট পেয়েছিলেন মোটে ৫ শতাংশ। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক সময় কড়া সমালোচক ছিলেন গর্বাচেভ। তবে ২০১৪ সালে পুতিনের নির্দেশে যখন ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া, তখন তার পক্ষেই ছিলেন তিনি। গত বছর গর্বাচভের ৯০তম জন্মদিনে তাকে আবার প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন পুতিন।
কিউটিভি/আয়শা/০১ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:০২