ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

কুড়িগ্রামে মন্দিরে আগুন ও প্রতিমা ভাঙচুর

Anima Rakhi | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২২ - ০১:০১:৫৪ পিএম

ডেস্ক নিউজ : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় একটি শিব ও মনসা প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

সোমবার (৮ আগষ্ট) দিনগত আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় হিন্দু জনগোষ্ঠির লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নাওডাঙ্গা গ্রামের রতিকান্ত রায়ের বাড়ির উঠানের মন্দিরে শিব ও মনসা মূর্তি রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এ মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মন্দিরের ৪০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। 

এ প্রসঙ্গে রতিকান্ত চন্দ্র রায় জানান, তার প্রতিবেশি গোলবার রহমান, মাইদুল ইসলাম ও বাদল চন্দ্র রায় রাতে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মন্দিরে আগুন জ্বলে উঠার ঘটনা জানান। তিনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে মন্দিরের আগুন নেভান। তবে কারা প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সেটা দেখেননি বলেও জানান তিনি। 

রতিকান্ত আরও জানান, আমার বাবা ও দাদা এই মন্দিরে পূজা করতেন। আমার বাবার মৃত্যুর পর আমিই এই মন্দিরে পুজার্চনা করে আসছি। 

প্রতিবেশি গোলবার রহমান জানান, রাত আড়াইটার দিকে মন্দিরে আগুন জ্বলতে দেখতে রতিকান্তকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন তিনি। পরে সবাই মিলে মন্দিরের আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

ফুলবাড়ী উপজেলার পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাত্তিক চন্দ্র রায় বলেন, “প্রতিমা বাংচুর করে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তারা আতংকিত হয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন রায় বলেন, “প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দিরের আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা তাদের জন্য হুমকি। দুর্বৃত্তরা হিন্দুদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করতে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। বিচার না পেলে প্রয়োজনে আন্দোলন করা হবে।”

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন দাস জানান, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কিউটিভি/অনিমা/১০.০৮.২০২২/দুপুর ১.০১

▎সর্বশেষ

ad