আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মারিউপোলের অবরুদ্ধ আজভস্টাল থেকে প্রায় ১০০ জন বেসামরিক মানুষকে রোববার বের করে নিয়ে আসা হয়েছে।
এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী, শিশু বা আহত মানুষ।
এই আজভস্টাল স্টিল কারখানার নিচে থাকা বোমা আশ্রয় কেন্দ্রের ভেতরে প্রায় দুই মাস আটকা ছিলেন তারা।
কেমন কেটেছে এই সময়টা। সেই বিষয়ে জানিয়েছেন বেঁচে ফিরে আসা এক নারী।
নাতালিয়া ওসমানোভা নামে ওই নারী জানান, তিন অনেক ভয়ার্ত ছিলেন। তার ধারণা ছিল স্টিল কারখানাটি সবচেয়ে নিরাপদ। এ কারণে সেখানে আশ্রয় নেন তিনি ও তার পরিবার।
তিনি জানান, প্রথম দিকে সেই বোমা আশ্রয় কেন্দ্রটিতে ৫০ জন মানুষ ছিল। পাশের আশ্রয় কেন্দ্রে ছিল ৪০ জন।
তিনি আরও জানান, আশ্রয় কেন্দ্রের ভেতর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না। এ কারণে শ্বাস নিতে তাদের বাইরে আসতে হত।
তবে নাতালিয়া ওসমানোভা বলেছেন, তিনি অক্সিজেন গ্রহণ করতে বাইরে আসতেও অনেক ভয় পেতেন।
কারণ সেখানে অব্যহতভাবে গোলাবর্ষণ চলছিল।
তিনি জানান যখন গোলাবর্ষণ ও হামলার মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছিল তখন অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
নাতালিয়া ওসমানোভা বলেন, যখন গোলাবর্ষণ শুরু হয়েছিল আমার মনে হয়েছিল আমার হার্ট চলা বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ১১ জন বোমা আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বের হয়েছিল সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হয়। বলা হয় রাশিয়ার সেনারা দেখলে গুলি করতে পারে।
অবশেষে সকল অনিশ্চয়তা দূর করে আজভস্টাল মৃত্যুপুরী থেকে বের হয়ে বাসে ওঠার ঘটনাটি মনে করে নাতালিয়া ওসমানোভা বলেন, আমার স্বামীকে বললাম, ভায়সা, আমাদের আর ফ্লাস লাইট নিয়ে টয়লেটে যেতে হবে না এবং আমাদের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে না।
সূত্র: বিবিসি
কিউটিভি/অনিমা/২রা মে, ২০২২/১৮ বৈশাখ, ১৪২৯/রাত ৯:৪৩