আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোববার (১ মে) ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১৫ জন বিদেশি নাগরিকসহ ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৬২ অস্ত্রধারীর মৃত্যু হয়েছে। কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান বিজয় কুমার জানান, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাশ্মীরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সদস্য নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল।
এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের ১৫ জন সদস্য ছিলেন। যারা ২০১৯ সালে কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছিল বলে দাবি করে ভারতের পুলিশ। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে কয়েকজন হিজবুল মুজাহিদীনের সদস্যও ছিলেন। ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে আটক ও হত্যাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করা আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। গত ২০ এপ্রিল পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে যান ইলহান। দেখা করেন আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে। সেসময় তিনি তাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে ভারতকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেন। কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে ইলহানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এ এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা’।
দ্য ডনের খবরে বলা হয়, চার দিনের সফরে লাহোরেও যান ইলহান। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার উত্তরসূরি শাহবাজ শরিফ, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
কিউটিভি/আয়শা/২রা মে, ২০২২/১৮ বৈশাখ, ১৪২৯/দুপুর ১:২১