ব্রেকিং নিউজ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার

দেশের পুষ্টি-অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীদের অবদান অপরিসীম: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Anima Rakhi | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ - ১০:৩২:০৪ পিএম

ডেস্ক নিউজ : দেশের পুষ্টি ও অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীদের অবদান অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, গ্রামীণ নারীরা হাঁস, মুরগি, গরু ও ছাগল পালন করে একদিকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন, অন্যদিকে  ডিম, দুধ ও মাংস সরবরাহের মাধ্যমে পুষ্টির জোগান নিশ্চিত করছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস–২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “জলবায়ু অভিযোজনে গ্রামীণ নারী” -শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মাইক্রো লেভেলে পুষ্টির অধিকাংশ অবদানই গ্রামীণ নারীদের। যদি তারা এসব প্রাণী পালন না করতেন, বাংলাদেশ কখনই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারত না। তাই গ্রামীণ নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নারীরা ঠিকই আছেন, কিন্তু তাদের সামনে আনা হয় না। এমন নয় যে নারীরা নেই —বরং তাদের অবদানকে দৃশ্যমান করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা যদি নারীদের সামান্য উৎসাহ ও সহায়তা দিতে পারি, তবে তাদের ভূমিকা আরও দৃশ্যমান হয়ে উঠবে।

জেলেদের প্রাপ্য মজুরি প্রসঙ্গে মৎস্য  উপদেষ্টা বলেন, দাদন প্রক্রিয়ার কারণে আমাদের জেলেরা ন্যায্য মজুরি পায় না। এটি এখন একটি গুরুতর সমস্যা। দাদন প্রথার অবসান জরুরি, এজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলে পরিবারের নারীদের স্বীকৃতি দেওয়াও সমানভাবে জরুরি।

বাল্যবিয়ে প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বাল্যবিয়ে রোধ না করতে পারলে গ্রামীণ নারী শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারবেন না। এজন্য জাতীয় পরিকল্পনা থাকা উচিত। মূল কথা হলো—নারীদের সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে হবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. হযরত আলী, সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ডের উপদলনেতা ক্যাথারিনা কোয়েনিগ, সুইডেন দূতাবাসের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও লিঙ্গসমতার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রেহানা খান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি দলের “Resilient Livelihood Programme”–এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মেহের নিগার ভূঁইয়া । 

এ সময় স্বাগত বক্তৃতা করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন -এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এর প্রকল্প কর্মকর্তা (ক্যাম্পেইন ও যোগাযোগ) তাজওয়ার মাহমিদ।

বক্তারা বলেন, কৃষি উৎপাদন ও জলবায়ু সহনশীলতায় নারীর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা সমাজে ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রায়ই অদৃশ্য থেকে যায়। তারা নারী-সংবেদনশীল কৃষি ও জলবায়ু নীতি প্রণয়ন, ভূমি, অর্থ ও প্রযুক্তিতে সমান প্রবেশাধিকার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

সেমিনারে বিভিন্ন নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন সহযোগী ও দেশের বিভিন্ন এলাকার নারী কৃষকরা অংশ নেন।

অনিমমা/৩০ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ১০:৩১

▎সর্বশেষ

ad