
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিনিয়োগ দূত কিরিল দিমিত্রিভ বৃহস্পতিবার প্রথম এই টানেলের ধারণাটি পোস্ট করেছিলেন। যা বেরিং প্রণালীর অধীনে দুটি দেশকে সংযুক্ত করার কথা বলে।
রয়টার্স জানায়, এই টানেলটি নির্মাণ করতে ব্যয় হবে ৮ বিলিয়ন ডলার। এই নির্মাণ প্রকল্পটি মস্কো এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অর্থায়নে করা হবে। যা নির্মাণ করতে প্রায় আট বছর সময় লাগতে পারে। এটি ১১২ কিলোমিটার রেল ও কার্গো সংযোগ নির্মাণ করবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংযোগকারী সুড়ঙ্গের ধারণা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এ সময় ট্রাম্প এই পরিকল্পনাকে ‘আকর্ষণীয়’ বলেন।
তবে ট্রাম্প ইউক্রেনের জেলেনস্কিকে এই ধারণা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যার জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি এই ধারণায় মোটেও খুশি নই।’ জেলেনস্কির এমন প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পক্ষ থেকে হাসির রোল পড়ে যায়।
রাশিয়া-মার্কিন সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্যকারী দিমিত্রিভ, ট্রাম্প পুতিনের সাথে টেলিফোনে কথোপকথনের পর এবং দুই নেতা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজতে বুদাপেস্টে দেখা করতে সম্মত হওয়ার পর এই ধারণাটি প্রকাশ করেন।
রাশিয়ার বিনিয়োগ দূত আরও বলেন, ছয় মাস আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সংযোগকারী একটি সুড়ঙ্গের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল। যা চুকোটকা অঞ্চলে ক্রেমলিনের বিশাল এবং বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা জনসংখ্যাকে আলাস্কা থেকে পৃথক করবে।সেতুটি পণ্য পরিবহনের পথ ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি কমিয়ে দেবে বলেও জানান তিনি তিনি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আয়শা/১৯ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৩:১৯