
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুধবার (১৩ অক্টোবর) ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন তিনি। সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের এটাই ছিল প্রথম রাশিয়া সফর।
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিলেন মস্কো। গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে আসাদ সিরিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ মাস ধরে রাশিয়ার আশ্রয়ে আছেন।
শারা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে, যা আমাদের একসূত্রে রেখেছে। আমরা রাশিয়ার সঙ্গে করা সব চুক্তিকে সম্মান করি। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নতুনভাবে সজ্ঞায়িত করার জন্য করাজ করছি।
এসময় দুই দেশের মধ্যকার কয়েক দশকের বিশেষ সম্পর্কের প্রশংসা করেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি, মস্কো সব সময় সিরীয় জনগণের স্বার্থকে বিবেচনায় রাখে এবং তার সরকার এই সম্পর্ককে আরও সম্প্রসারিত করতে চায়।
পুতিন সিরিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনেরও প্রশংসা করেছেন। বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটি ছিল দেশটির প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন। পুতিনের মতে, এই প্রক্রিয়াটি সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যকার সম্পর্ককে দৃঢ় করবে।
আহমেদ আল-শারা এক সময় আল কায়েদার সিরীয় শাখার প্রধান ছিলেন। তিনি তখন আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি নামে পরিচিত ছিলেন। সিরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাশার আল-আসাদকে সিরিয়ার কাছে হস্তান্তরের জন্য মস্কোর কাছে অনুরোধ জানাতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকটি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছিলেন শারা। তবে বৈঠকের শুরুতে টেলিভিশনে আল-শারার সংক্ষিপ্ত যে ভাষণটি প্রচার হয়েছে, তাতে স্পর্শকাতর এ কূটনৈতিক বিষয়টির কোনো উল্লেখ ছিল না।
আয়শা/১৬ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:২৮