
স্পোর্টস ডেস্ক : ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’– শেষ এক বছরে এমন কিছু পাকিস্তানের সঙ্গে হয়েছে দুবার। একবার হয়েছে ইতিবাচক অর্থে, আরেকবার তা দুর্ভাগ্য বয়ে এনেছিল দলটার জন্য। দুবারই বিষয়টার সঙ্গে জড়িত ছিল সাইম আইয়ুবের নাম।
আসল রূপটা দেখালেন দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে। ৮৪ রানের এক ইনিংস খেললেন সে ম্যাচে। এরপর থেকে তিনি সেঞ্চুরি করলেন তিনটি, যার দুটো আবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে, তাদেরই বিপক্ষে। তারই সুবাদে পাকিস্তান প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করল ৩-০ ব্যবধানে।
বিনা মেঘে বজ্রপাতের প্রথম ধাপটা উপভোগই করছিল পাকিস্তান। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসছে, তখন দলটা তাকে ঘিরে বড় আশাই করে বসেছিল। তবে সে আশা ভেঙে গেল বিনা মেঘে বজ্রপাতের দ্বিতীয় অংশে গিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্টে ফিল্ডিং করতে গিয়ে গোড়ালির চোট পেয়ে ছিটকে যান সাইম।
তার জন্য দল ঘোষণা করতেও অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে দলটাকে। তবু তাদের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। সাইমকে ছাড়াই খেলতে হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ৩ ম্যাচের দুটিতে হেরে বিদায় নিশ্চিত হয় আগেভাগেই।
এমন ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান স্বীকার করেছেন যে তরুণ ওপেনার সাইম আইয়ুবের চোটই এলোমেলো করে দিয়েছিল দলকে। যদিও তিনি সেটা ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাননি না।
তিনি বলেন, ‘যখন একজন খেলোয়াড়, যিনি গত কয়েকটি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন, হঠাৎ চোট পেয়ে যান, তখন তা অবশ্যই দলের ওপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু একজন নেতা হিসেবে আপনাকে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে। স্কোয়াডে আরও খেলোয়াড় আছে, তাই আমরা চোটকে অজুহাত হিসেবে নিতে চাই না।’
ঘরের মাঠের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান এখন স্রেফ দর্শক। দলটার পরের অ্যাসাইনমেন্ট আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সে সিরিজে নিশ্চয়ই সাইমকে ফেরত পেতে চাইবে পাকিস্তান।
কিউটিভি/আয়শা/২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ১:০২