
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের সবাই ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। এ তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী, পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার, পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গহর খান, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব খানসহ আরও অনেকে।
বহু মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। তার স্ত্রী বুশরা বিবি আলোচিত তোশাখানা মামলার আসামি হিসেবে ৯ মাস কারাবাসের পর গত নভেম্বরে জামিন পেয়েছেন। বুশরা জামিন পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর ইসলাসাবাদ অভিমুখে রওনা দেন পিটিআইয়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
২৭ নভেম্বর তারা ইসলামাবাদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডি-চকে এসে পৌঁছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন। সেখানে পুলিশ ও পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় তাদের। গত ১৩ নভেম্বর সরকার পতনে ‘চূড়ান্ত আন্দোলন’-এর ডাক দিয়েছিলেন ইমরান খান। তার নির্দেশেই ২৪ তারিখ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে পিটিআই। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, ২৭ নভেম্বরের সংঘর্ষে পিটিআইয়ের ১২ জন কর্মী-সমর্থক নিহত হয়েছেন।
তবে, বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আলী আমিন গান্দাপোর এবং বুশরা বিবি ছাড়া দলের অন্য কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। আর ২৭ তারিখ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন বুশরা বিবি।
কিউটিভি/আয়শা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:০০