ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

কোরবানি সম্পর্কে কী বলে কোরআন?

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ - ০৫:০৩:৪৬ পিএম

ডেস্ক নিউজ : তবে আজকের মুসলিম সমাজে যে কোরবানির প্রচলন রয়েছে তা মূলত জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের দেখানো পথ থেকেই। হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের শতবর্ষ বয়সের পর আল্লাহ তা’আলা তাকে যে সন্তান দান করেছিলেন, সেই কলিজার টুকরা হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে আল্লাহর মাধ্যমে আদিষ্ট হয়ে কোরবানির সূত্র ধরে আজও সেই কোরবানি প্রচলিত আছে।

 

পবিত্র কোরআনে কোরবানি সম্পর্কে আল্লাহ যা যা বলেছেন
 

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর হজ ও ওমরা আল্লাহর জন্য পূর্ণ কর। এরপর যদি তোমরা আটকে পড় তবে যে পশু সহজ হবে (তা জবেহ কর)। আর তোমরা তোমাদের মাথা মুণ্ডন করো না, যতক্ষণ না পশু তার যথাস্থানে পৌঁছে। আর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ কিংবা তার মাথায় যদি কোনো কষ্ট থাকে তবে রোজা কিংবা সদকা অথবা পশু জবেহর মাধ্যমে ফিদয়া দেবে। আর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন যে ব্যক্তি ওমরার পর হজ সম্পাদনপূর্বক তামাত্তু করবে, তবে যে পশু সহজ হবে, তা জবেহ করবে। কিন্তু যে তা পাবে না তাকে হজে তিন দিন এবং যখন তোমরা ফিরে যাবে, তখন সাত দিন রোজা পালন করবে। এই হলো পূর্ণ দশ। এই বিধান তার জন্য, যার পরিবার মসজিদুল হারামের অধিবাসী নয়। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর!’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৯৬)
 

 
আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, ‘বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহর জন্য, যিনি সব সৃষ্টির রব’। ‘তাঁর কোনো শরিক নেই এবং আমাকে এরই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আর আমি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম’। (সুরা আনআম : আয়াত ১৬২-১৬৩)
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যেসব জন্তু তিনি রিজিক হিসেবে দিয়েছেন তার ওপর। তোমাদের ইলাহ তো এক ইলাহ; অতএব তারই কাছে আত্মসমর্পণ কর; আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও, যাদের কাছে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে, যারা তাদের বিপদ-আপদে ধৈর্যধারণ করে, যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৪-৩৫)
বলা হচ্ছে, ‘আর কোরবানির উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন বানিয়েছি; তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে কল্যাণ। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান অবস্থায় সেগুলোর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর যখন সেগুলো কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে খাও। যে অভাবী, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়- তাদেরকে খেতে দাও। এভাবেই আমি ওগুলোকে তোমাদের অনুগত করে দিয়েছি; যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৬)
পবিত্র কোরআনে কোরবানির সেই কাহিনি বলা হচ্ছে, ‘এরপর যখন সে তার (ইবরাহিম) সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছলো, তখন সে বললো, ‘হে প্রিয় ছেলে!, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে জবেহ (কোরবানি) করছি, অতএব দেখ (এতে) তোমার কী অভিমত’; সে (ইসমাঈল) বললো, ‘হে আমার বাবা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা আস-সাফফাত : আয়াত ১০২)
‘নিশ্চয় এটা সুস্পষ্ট পরীক্ষা’। আর আমি এক মহান জবেহের (কোরবানির) বিনিময়ে তাকে মুক্ত করলাম। আর তার জন্য আমি পরবর্তীদের মধ্যে সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি। ইবরাহীমের প্রতি সালাম। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।’ (সুরা আস-সাফফাত : আয়াত ১০৬-১১০)
আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘কিন্তু মনে রেখো! কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের তাক্‌ওয়া। এই লক্ষ্যেই কোরবানির পশুগুলোকে তোমাদের অধীন করে দেওয়া হয়েছে। অতএব আল্লাহ তোমাদের সৎপথ প্রদর্শনের মাধ্যমে যে কল্যাণ দিয়েছেন, সেজন্যে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো। হে নবি! আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দিন যে, আল্লাহ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৭-৩৮)  ‘অতএব আপনার রবের উদ্দেশ্যেই নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ (সুরা কাউসার : আয়াত ২)
এভাবে কোরবানি মুসলমানদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট বিধানে পরিণত হলো। প্রতি বছর হিজরি ১২তম বছরের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর জন্য পশু জবাই করার মাধ্যমে এ বিধান পালন করতে হয়। এর মাধ্যমে অর্জিত হয় মহান রবের সন্তুষ্টি।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৯ মে ২০২৪,/বিকাল ৫:০২

▎সর্বশেষ

ad