ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ গাজী মাজহারুল আনোয়ার : তুমি সুতোয় বেধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হলো ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে যমুনায় ৮ দলের প্রতিনিধি, আশপাশ এলাকায় নেতাকর্মীরা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায়

ডিম, পেঁয়াজ ছাড়া বাকি সব এখনও হাতছাড়া

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ - ০৮:৫৮:৫১ পিএম

ডেস্ক নিউজ : শনিবার (২৩ মার্চ) মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। বাজারে আলু, রসুনসহ বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে। তবে নির্ধারণ করে দেয়া দামে পাওয়া যাচ্ছে শুধু পেঁয়াজ ও ডিম। এ ছাড়া কয়েক ধরনের সবজির দাম কমলেও সজিনা, বরবটি ও করলার দাম শতকের উপর।

রোজার শুরুতে প্রতি কেজি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম ছিল যথাক্রমে ২১০ ও ৩১০ টাকা। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ কৃষি বিপণন অধিদফতর ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ২৬২ টাকা কেজি নির্ধারণ করেছে।
 
৬৬৪ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। মাংস বিক্রেতাদের দাবি, গরুর দাম বাড়ায়, বাড়ছে মাংসের দামও। যারা কম দামে মাংস বিক্রি করেছে এতদিন, তারাও এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের কথা শুনলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
 
তবে দাম কমেছে ডিম ও পেঁয়াজের। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহ ধরে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। গত দুই দিনে কমে পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
এদিকে বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। ৩৫ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। যদিও সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা। এ ছাড়া বেড়েছে আমদানি করা রসুনের দামও। রসুনের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা।
 
সজিনা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল কেজিপ্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কাঁচাবাজারগুলোতে।
 
এছাড়া বাজারে বেশকিছু সবজির দাম কিছুটা কমেছে। মূলার কেজি ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৪০ টাকা, প্রতি কেজি পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
কাঁচাবাজারের দোকানিরা বলছেন, রমজানের শুরুতে মানুষের কেনাকাটার পরিমাণ বেশি ছিল। চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছিল। এখন চাহিদা কম, পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। তাই অনেক পণ্যের দাম কিছুটা কমে গেছে।
 
রাজধানীর কৃষিমার্কেট বাজারে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আশিকুর রহমান বলেন, বাজারে মুরগিসহ সব ধরনের মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সজনে-বরবটি, করলা, পটলের দামও অনেক বেশি। ১০ টাকা, ৫ টাকা বাড়তে বাড়তে সবকিছু নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সব ধরনের পণ্য আনতে হলে অবশ্যই বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। নাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট এভাবে কাটতেই থাকবে।
 
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ভোক্তারা যেন ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে পারে সেজন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্বার্থান্বেষী মহলকে ঠেকাতে সরকারকে অবশ্যই বাজার মনিটরিং বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৩ মার্চ ২০২৪,/রাত ৮:৫৫

▎সর্বশেষ

ad