ব্রেকিং নিউজ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার

ইবাদত আত্মার প্রশান্তি লাভের মাধ্যম

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ - ১২:৫৮:৫৩ পিএম

ডেস্ক নিউজ : ইবাদতের মাধ্যমে প্রকৃত মুমিনের আত্মার প্রশান্তি মেলে। আত্মার প্রশান্তি অর্জিত না হলে দুনিয়ার প্রকৃত সুখ লাভ করা সম্ভব নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের প্রশান্তি লাভের অন্যতম মাধ্যম ছিল আল্লাহর ইবাদত। আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সুগন্ধি ও নারীকে আমার কাছে অতি প্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। আর আমার চোখের শীতলতা রাখা হয়েছে সালাতের মধ্যে। (নাসাঈ, হাদিস : ৩৯৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) সালাতের সময় হলে বিলাল (রা.)-কে বলতেন, হে বিলাল! আজান দাও, আমাদের সালাতের মাধ্যমে প্রশান্তি লাভের ব্যবস্থা করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৮৬) আমরা ইবাদতে আনন্দ পাই না। বরং মজাদার খাবার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, নাটক, সিনেমা, মুভি, আড্ডাবাজি, গাল-গল্প, খেলাধুলা, ঘোরাঘুরি প্রভৃতি আমাদের আনন্দ দেয়।

মোবাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটালে তাতে বিরক্ত লাগে না, বরং ভালো লাগে। কিন্তু কোরআন তিলাওয়াতে বসলে, দ্বিনি বৈঠকে বসলে দ্রুত হাঁপিয়ে উঠি। রাত জেগে জেগে মুভি বা খেলা দেখতে আমাদের মজা লাগে, কিন্তু তাজাজ্জুদে আমরা মজা পাই না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত বা দ্বিনের পথে সময় দেওয়ার ব্যাপারে কত হিসাব-নিকাশ করি, কিন্তু দুনিয়াবি স্বার্থের পেছনে বেহিসাবে সময় খরচ করতে কুণ্ঠিত হই না।

মূলত আমাদের পাপাচার ও অনাচারের কারণে আমাদের হৃদয়ে মরিচা পড়ে গেছে। তাই আমরা ইবাদতে প্রশান্তি লাভে ব্যর্থ হচ্ছি এবং ইবাদতের অবসরে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। ফকিহ আবুল লাইস সামারকান্দি (রহ.) বলেন, বান্দা ইবাদতের মিষ্টতা লাভ করতে পারবে কেবল তখনই, যখন সে তার নিয়তকে খালেস করে ইবাদতে প্রবেশ করবে এবং আল্লাহভীরুতার সঙ্গে আমল করবে। যখন সে নিয়ত পরিশুদ্ধ করবে, তখন দেখতে পাবে যে মহান আল্লাহ অনুগ্রহ করে তাকে এই আমল করার তাওফিক দান করেছেন। ফলে তার হৃদয়ে শুকরিয়া ও প্রশান্তির অনুভূতি জাগ্রত হবে। (তাম্বিহুল গাফিলিন, পৃষ্ঠা ৫৯২)

সুতরাং ইবাদতের সময় লক্ষ করতে হবে যে আমি ইবাদতের মাধ্যমে প্রশান্তি ও আনন্দ অনুভব করতে পারছি কি না। যদি প্রশান্তি পাই তাহলে ইবাদতের অবসর যথার্থ হয়েছে। আর যদি প্রশান্তি না পাই, তাহলে নিশ্চিত বুঝে নিতে হবে, আমাদের পাপই এর জন্য দায়ী। ফুজাইল ইবনে ইয়াজ (রহ.) বলেন, ‘যদি তুমি রাত্রি জাগরণে সক্ষম না হও এবং দিনের বেলা সিয়াম পালন করতে না পারো, তবে তুমি বুঝে নিবে, তুমি আল্লাহর বিশেষ রহমত থেকে বঞ্চিত।’ (ইবনুল জাওজি, সিফাতুছ সাফওয়া ২/২৩৮)

 

 

কিউটিভি /আয়শা/২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/দুপুর ১২:৫৫

▎সর্বশেষ

ad