
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধে যোগ দিতে ইরানের একটি এলিট ফোর্স লেবাননে রয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র বলেছেন, ইমাম হোসেন ডিভিশন নামের ফোর্সটি লেবাননের ইসলামি সশস্ত্র সংগঠনের সহায়তায় দক্ষিণ লেবাননে এসেছে। আরও বলেন, এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লেবানিজ সীমান্তে আইডিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত ছিল এবং ইসরাইলি ভূখণ্ডে আক্রমণাত্মক কার্যকলাপে অংশ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন সাময়িকী নিউজউইককের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ইমাম হোসেন ডিভিশন ফোর্সটি ইসলামিক রেভুল্যশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এলিট কুদস ফোর্সের একটি শাখা। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা গেছে। দলটিতে হাজার হাজার যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত একটি যুদ্ধ বাহিনী, বিশেষ বাহিনী ও লজিস্টিক বিভাগ রয়েছে। যাতে সুনির্দিষ্ট-নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্রসহ সশস্ত্র ও নজরদারিকারী ড্রোনও রয়েছে। দলের বেশিরভাগই সিরিয়ান, তবে আফগানিস্তান, লেবানন, পাকিস্তান, সুদান, ইয়েমেন এবং অন্যান্য জায়গা থেকেও অনেকে যোগদান করেছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরাইল গত সপ্তাহে গাজায় সীমিত স্থল আক্রমণ সম্প্রসারণ ঘোষণা করার পর অবরুদ্ধ গাজা স্ট্রিপের গভীরে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। ইসরাইলের পূর্ণ আগ্রাসন প্রতিরোধে ইসলামিক সংগঠনগুলো একত্রিত হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইডিএফ মুখপাত্র জানান, ‘হামাসের রাজনৈতিক সংগঠনের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বৃহস্পতিবার ইরান সফর করছেন। হানিয়াহ এর আগে ১৪ অক্টোবর কাতারের রাজধানী দোহাতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।’ যদিও কোনো পক্ষই এখনো এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইসরাইল ইরানসহ আরও কয়েকটি দলের সম্পৃক্ততা দেখতে পাবে।
ইরানি কর্মকর্তারা ৭ অক্টোবরের হামলায় কোনো প্রধান ভূমিকা পালন না করলেও তারা স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি দলগুলোকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়েছে। হামাস ও সহযোগী ইসলামি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর বেশ কয়েকজন সিনিয়র সদস্য প্রকাশ্যে ইরানের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা বলেছেন। পাশাপাশি সারা বিশ্ব থেকে আরব ও মুসলমানদের ইসরাইলের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে কুদস ফোর্সের প্রধান ইসমাইল কানিও লেবাননে অবিরাম উপস্থিতি বজায় রেখেছেন বলেও জানা গেছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ফ্রন্টে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সমন্বয় করছেন। একটি সূত্র যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া আউটলেট আমওয়াজ মিডিয়াকে এ কথা জানিয়েছে। সূত্রমতে, ৭ অক্টোবর অপারেশন আল-আকসা শুরু হওয়ার একদিন পর কানি লেবাননে পৌঁছান। লেবাননে ফিরে আসার পর কানি লেবাননে অবস্থিত হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি উপদলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ লেবাননের ফ্রন্টকে সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করছেন। গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ এমপি হাসান ফাদলাল্লাহ এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
কিউটিভি/অনিমা/০৩ নভেম্বর ২০২৩/রাত ১০:২২