
নাজমুস সাকিব নোমান এর রোজনামচাঃ জীবনের গল্প – পর্ব ১
আকাশ মেঘলা,সকাল ৭ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। প্রতিদিনের মতন আজও ব্রাশ করে ১ গ্লাস পানি ও কিছু হালকা খাবার খেয়ে নেমে পড়লাম অজানা রহস্য উদঘাটন করতে। রহস্যটা অবশ্য তেমন মারাত্মক কিছু নয়। তবে এটিকে যে আনন্দের রহস্য বলা যাবে তাও নয়।
মূলত সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এখন ধীরে ধীরে এইসএসসি এর কিছু পড়াশুনা শুরু করেছি। তারমধ্যে সকালে জীববিজ্ঞান নামক বিষয়টি পড়তেই আমার স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয় । তাই আজও যথারীতি পড়তে বসলাম । এত বড় বই দেখে ভয় লাগা সত্বেও সাহস করে উদ্ভিদবিজ্ঞান এর ১ম অধ্যায় এর ৫/৬ পেজ পড়ে ধৈর্য প্রায় শেষ। তেমন কিছু বুঝলাম ও না শুধু পড়েই গেলাম।
আশাহত হয়ে উঠে পড়লাম টেবিল থেকে। দেখি ১ ঘণ্টাও হয়নি। তারপর সময় ফাঁকি দিয়ে আমের মৌসুম বলে আম গিলতে শুরু করলাম। আম খাওয়া শেষ করে আবার বসলাম পড়তাম। বসে কিছু অঙ্ক করে ফোন টা নিয়ে আরামে ইউটিউব, ফেসবুকিং শুরু করলাম। তন্মধ্যে নাস্তার ডাক। নাস্তা খেয়ে চা না খেলে আমার মাথা ঠিক থাকে না। তাই এক কাপ চা খেয়ে বোনের সাথে গল্প গুজব করলাম।সময় কাটানোর উপায় আরকি।
বাজারে গিয়েছিলাম একটু খরচ আনতে। এরপর দুপুর হলো গোসল ভাত খাওয়া দাওয়া করতেই আমার বাবার বড় ভাই (বড়আব্বা) হাজির। তার সাথে সৌজন্যমূল কথা বলে শেষ বিকেলের দিকে একটু বাইরে গেলাম বন্ধুর সাথে। বাসায় আসলাম ৭ টার দিকে, এসে ঘামে অবস্থা খারাপ দেখে গোসল করে নাস্তা করে হালকা পড়লাম (বই গুলোর সাথে পরিচিতি পর্ব আরকি)।
রাত ৯.৩০ এর দিকে উঠে ফেসবুকিং শুরু করলাম। এরই মধ্যে নৈশভোজের আহ্বান পেয়ে ছুটে গেলাম খাবার টেবিলে। খাবার শেষ করে আবারও ফেসবুকিং। এর পর রাত ১২ টার দিকে শুলাম। এখন কারেন্ট নেই তাই ওয়াইফাই ও নেই ।ফোনে টাকাও নেই যে এমবি লোড দিবো। তাই ভাবলাম একটু লেখি আজ সারাদিন যা করলাম। অবশ্য লেখার চিন্তা আসছে এইজন্যই কারণ একটু অনুভূতি নিতে চাচ্ছিলাম লুৎফর রহমান নানা (BNP সদস্য ,লেখক, রাজনীতিবিদ ) কিভাবে এত লেখালেখি করে। ভালই লাগলো মনে হচ্ছে আমিও লেখালেখি জগতে প্রবেশ করবো । কারণ ভালই লাগে লেখালেখি করতে।। এখন অবশ্য কারেন্ট আসছে, তাই আমি চললাম ফেসবুকিং করতে।
লেখকঃ নাজমুস সাকিব নোমান এবারে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম শহরে বসবাস। পরীক্ষা দিয়েছে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। প্রাত্যহিক জীবনের খন্ডচিত্র ”রোজনামচা” দিয়েই সকল লেখকই লেখালেখির জগতে প্রবেশ করে থাকেন। নোমানও তাই শুরু করেছে। পড়াশোনা ও লেখালেখির কোন বিকল্প নেই। নোমানের মত কিশোররা ফেসবুকিং ও ইউটিউব, ইন্সট্রাগ্রাম সহ সকল ডিজিটাল পাল্টফর্মে অবাধ বিচরনের পাশাপাশি যদি লেখালেখির জগতে বিচরণ করে, তাহলে জীবন গঠনে ওরা থাকবে অনেক এগিয়ে।
কিউটিভি/ রূপম/১৪.০৬.২০২৩/রাত ১.১৬