চীনাদের দেশত্যাগে বাধা দিচ্ছে শি জিনপিং

uploader3 | আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ - ০৯:৫৪:৩০ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন নতুন আইন করে জনগণকে দেশ ত্যাগে বাধা দিচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বহির্গমন ঠেকাতে ২০১৮ সালের পর থেকে পাঁচটি নতুন আইন বা ‘প্রস্থান নিষেধাজ্ঞা’ পাশ করেছে বেইজিং। মাদ্রিদভিত্তিক অধিকার গ্রুপ সেফগার্ড ডিফেন্ডারসের তথ্যানুসারে শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি আইন জারি করেছেন। 

গত সপ্তাহে দূতাবাস আইন আরও কঠোর করেছে বেইজিং। বাধ্য হয়ে সরকারের নতুন আইনের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ভুক্তভোগী চীনারা। 
২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে চীনের সুপ্রিমকোর্টে বহির্গমন নিষেধাজ্ঞার মামলা আট গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান।

চীনের বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরোপিত এসব কঠোর  নিরাপত্তা আইনের কারণেই দেশ ত্যাগে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দেশটির হাজার হাজার জনগণ। 

সংস্থাগুলোর দাবি, ২০১২ সালে শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘চীন প্রস্থান নিষেধাজ্ঞা’কে আরও জোরদার করেছে। নিজেদের সীমানা আরও প্রসারিত করছে।  আইনি বৈধতার বাইরেও তারা এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা আরও বলছে, দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আইনগুলো কঠোর করার মধ্য দিয়ে সবদিক থেকে সাধারণ জনগণের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে শি নেতৃত্বাধীন দেশটির কমিউনিস্ট সরকার।

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে করা এ আইনগুলো ‘অস্পষ্ট, জটিল, বিস্তৃত এবং আপিলযোগ্য নয়’। গত পাঁচ বছরে রাজনৈতিকভাবে বহির্গমন নিষেধাজ্ঞা আরও বাজে অবস্থায় পৌঁছেছে। সাংবাদিক, আইনজীবী, বিদেশি ব্যবসায়িক কর্মকর্তা ছাড়াও হাজার হাজার বিদেশি নাগরিককে গত কয়েক বছর চীন ছাড়তে নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। 

এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৯৯৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২৯ জন মার্কিনি, ৪৪ জন কানাডিয়ানের প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হয়। বিদেশি ব্যবসায়িক লবিগুলোর দাবি, অনেকেই আছেন যারা দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত এ প্রস্থান নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে অবগত থাকে না। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ব্যবসা মন্দার ঝুঁকিকে দিন দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে।

 

কিউটিভি/অনিমা/০৬ মে ২০২৩,/রাত ৯:৫৪

▎সর্বশেষ

ad