
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে’ একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস চালু করবে দুই দেশ। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তেহরান সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মার্চ ও এপ্রিলে বেইজিংয়ে দুদফায় বৈঠকে মিলিত হয় সৌদি ও ইরানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। দীর্ঘদিনের বিভেদ ভুলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়। দুদেশই পুনরায় নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে চুক্তিও করে। কিন্তু বৈঠকের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে কবে নাগাদ নিজেদের দূতাবাস চালু করবে দেশ দুটি।
শুক্রবার লেবানন সফরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান। দূতাবাস চালুর বিষয়ে সুখবর দেন তিনি। বলেন, খুব দ্রুতই দেশদুটির রাজধানীতে উভয়ের দূতাবাস ও বিভিন্ন শহরে কনস্যুলেট চালু করা হবে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে ফোনালাপ হয়েছে বলেও জানান ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহানকে তেহরান সফরের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান বলেন, ঈদের পর সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। আমরা দূতাবাস ও কনস্যুলেট চালুর বিষয়ে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই এটা হবে। তাকে আমি তেহরানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তিনি তা গ্রহণও করেছেন। ২০১৬ সালে রিয়াদে এক শীর্ষ শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। এরপরই সম্পর্কের অবনতি হয় দেশ দুটির। কূটনৈতিক সম্পর্কও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সৌদি আরবের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতও একই পথ অবলম্বন করে। এরপর থেকেই মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে একটা অস্থিরতা শুরু হয়। চীনের মধ্যস্থতায় দেশ দুটি পুনরায় আলোচনায় বসায় শান্তির আভাষ পাওয়া যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে।
কিউটিভি/আয়শা/২৯ এপ্রিল ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:৪৫