আগামী বছর রাশিয়ায় রফতানি হবে দুই লাখ টন আলু: কৃষিমন্ত্রী

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ - ১০:০৬:২৯ পিএম

ডেস্ক নিউজ : মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে আলু রফতানি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘দেশের আবহাওয়া ও মাটি আলু উৎপাদনের জন্য খুবই অনুকূল। বর্তমানে বছরে এক কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের প্রয়োজন বছরে ৮০ লাখ টন। আর বাকি ২০ লাখ টন রফতানি করার সুযোগ রয়েছে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

রাশিয়ায় দীর্ঘদিন আলু রফতানি বন্ধ থাকার কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের আলু রোগ-জীবাণুমুক্ত ও নিরাপদ করেছি। এই নিশ্চয়তা পেয়েই রাশিয়া রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এ বছর খুব বেশি না হলেও, আগামী বছর দেড় থেকে দুই লাখ টন আলু রফতানি হবে।’
আলু রফতানি সংক্রান্ত চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এবং রাশিয়ার পক্ষে ন্যাশনাল গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মিয়া স্বাক্ষর করেন।
 
এ সময় আরও ‍উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রসঙ্গত, আলুতে ক্ষতিকর ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে আলু রফতানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেক পদক্ষেপ নেয়ায় ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে রাশিয়ায় বাংলাদেশের আলু রফতানির একটি বিশাল দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ২০১৫ সালে সবশেষ রাশিয়ায় ২০ হাজার টন আলু রফতানি হয়েছিল।
 
এদিকে দেশে ২০২০-২১ সালে ৯৯ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়। এর বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৬৮ হাজার ৭৭৩ টন। ২০২১-২২ সালে উৎপাদন হয় ১ কোটি ২ লাখ টন এবং রফতানি হয় ৭৮ হাজার ৯১০ টন। এদিকে ২০২২-২৩ সালে ১ কোটি ১১ লাখ টন উৎপাদন হয়েছে, রফতানি হয়েছে (জানুয়ারি পর্যন্ত) ১৩ হাজার টন।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০৪ এপ্রিল ২০২৩,/রাত ১০:০৫

▎সর্বশেষ

ad