
লাইফস্টাইল ডেস্ক : পেয়ারাতে আছে হাইপোগ্লাইসেমিক বা গ্লুকোজবিরোধী প্রভাব, যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। এতে আরও আছে বেশকিছু ক্যারোটিনয়েড (এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট) যেমন বিটা-ক্যারোটিন, লাইকোপিন, লুটিন, গামা-ক্যারোটিন, বিটা-ক্রিপ্টক্সানথিন, ক্রিপ্টো ফ্ল্যাভিন, রুবিক্সানথিন ও নিওক্রোম।
এ ছাড়াও পেয়ারায় আছে ফেনোলিক যৌগ। যেমন- অ্যান্থোসায়ানিনস, মাইরিসেটিন ও এলাজিক অ্যাসিড। পেয়ারায় আরও আছে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার ও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যেমন লোহা, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারার উপকারিতার বিষয়ে কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন পেয়ারা খেলে কমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
আরেকটি গবেষণা অনুসারে, ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। একইসঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বশে থাকে, যা হৃদ্রোগের জটিলতা কমায়। পেয়ারা শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন (একধরনের ডায়েটারি ফাইবার)। যা অন্ত্রের মাধ্যমে গ্লুকোজ শোষণে বিলম্ব করে, ফলে শরীরে হঠাৎ করে চিনি বৃদ্ধি পায় না।
এ ছাড়াও পেয়ারা ফ্লেভোনয়েড গ্লাইকোসাইড সমৃদ্ধ। এটি শক্তিশালী এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ডায়াবেটিসবিরোধী ফ্ল্যাভোনয়েড হিসেবে বিবেচিত, যেমন- স্ট্রিক্টিনিন, ইসোস্ট্রিক্টিনিন ও পেডুনকুলাগিন। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
ইউএসডিএ অনুসারে, ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ২২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে বিরাট ভূমিকা রাখে। এর ফলে পেরিফেরাল টিস্যু, কার্ডিয়াক টিস্যু, কঙ্কালের টিস্যু ও অ্যাডিপোজ টিস্যুতে সহজেই ইনসুলিন প্রবেশ করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
কিউটিভি/আয়শা/০৯ মার্চ ২০২৩,/বিকাল ৫:০০