
বিনোদন ডেস্ক : ছবিটিকে ঘিরে ভারত-বাংলাদেশে চলছে তুমুল আলোচনা। তবে বাদ সাধে হলি আর্টিজান হামলায় নিহত অবিন্তার মা রুবা আহমেদ। সিনেমা মুক্তি বন্ধ চেয়ে রুবা আহমেদ করেন মামলা। যেটির পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ জানুয়ারি। এদিকে নির্মাতারা যাতে ওই হামলায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিরোধ মিটিয়ে নেন, সেই মর্মে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দিল্লি হাইকোর্ট। ১৭ জানুয়ারি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে রুবা আহমেদ জানান, তার মেয়ের প্রাইভেসি লঙ্ঘন করে ও ভুল তথ্য উপস্থাপন করে ‘ফারাজ’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। তাই তিনি চান এ ছবিটি না দেখানো হোক। এই দাবি নিয়ে তিনি ভারতের আদালতের শরণাপন্ন হন।
তবে পরিচালক হানসাল মেহতার পক্ষের অন্যতম আইনজীবী মালবিকা কপিলা কালরা গণমাধ্যমকে জানান, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরা ছবি মুক্তির ওপর কোনো ইনজাংশন দেননি। ফলে এখন পর্যন্ত সেটির মুক্তিতেও কোনো বাধা নেই। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি এ মামলার সবশেষ শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধান্ত মৃদুল ও তালওয়ান্ত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ পরিচালক হানসাল মেহতার আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, আবেদনকারীদের তারা বলতে পারেন বসে বিষয়টা মিটিয়ে নিতে। তবে তারা নিশ্চিত নন আইন তাদের এই ছবিটির মুক্তির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করার অধিকার দেয় কি না।
একটি সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে পর্দায় কোনো ছবি বানানো হলে সেই হামলায় ভিকটিমের প্রাইভেসির অধিকার লঙ্ঘিত হয় কি না এবং ওই ভিকটিমের অবর্তমানে সেই অধিকার তার নিকটাত্মীয়দের ওপর বর্তায় কি না–এ প্রশ্নকে ঘিরে আলোচিত মামলাটি ভারতে কার্যত এক নজিরবিহীন আইনি বিতর্ক শুরু করেছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে দিল্লি হাইকোর্টে একক বিচারপতির বেঞ্চ ‘ফারাজ’ ছবিটির মুক্তির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন। তার যুক্তি ছিল, প্রাইভেসির অধিকার একান্তভাবেই ‘ইন পার্সোনাল’ (সেই ব্যক্তির নিজস্ব)–মৃত্যুর পর সেই অধিকার তার মা কিংবা আইনি উত্তরাধিকারীরা পাবেন বিষয়টা এমন নয়।
কিউটিভি/আয়শা/২২ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৯:৪৫