ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু কুড়িগ্রামে নবগঠিত জেলা বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল

শেষ পর্যন্ত নিজেকে বিয়ে করেই ফেললেন গুজরাটের তরুণী

Anima Rakhi | আপডেট: ১০ জুন ২০২২ - ১১:০০:২৭ এএম

ডেস্ক নিউজ : কোনও পুরুষকে নয়, সবাইকে চমকে দিয়ে নিজেকে বিয়ে করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ভারতের গুজরাটের তরুণী ক্ষমা বিন্দু। আগামী ১১ জুন যাবতীয় রীতি মেনে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরই তরুণীর অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দানা বাধে। বিতর্ক এড়াতে ঘোষিত দিনের দু’দিন আগে অভিনব বিয়ে সেরে ফেললেন তিনি।

ভদোদরার একটি মন্দিরে যাবতীয় রীতি মেনে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছিলেন গুজরাটের ২৪ বছরের তরুণী। যার বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপি নেত্রী সুনীতা শুক্লা। নেত্রী বলেন, “বিয়ের স্থান নিয়ে আপত্তি আছে আমার। ওকে কোনও মন্দিরে বিয়ে করতে দেওয়া হবে না।” নেত্রী আরও বলেন, “এই ধরনের বিয়ে হিন্দু ধর্ম বিরোধী। এর ফলে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাবে।”

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করে নিজের বিয়ের কথা জানান ক্ষমা। তবে তিনি ভদোদরার নির্দিষ্ট মন্দিরেই বিয়ে করছেন কিনা, তা বলেননি। বিয়ের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তরুণী। সেখানে ধন্যবাদ জানান সকলকে। বলেন, “যারা আমার পাশে দাঁড়িয়ে এই কাজে আমাকে শক্তি যুগিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমি।”

এর আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা মিলন্দ দেওরাও ক্ষমার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মন্তব্য করেন, “এটা সীমা ছাড়ানো পাগলামো। আশা করছি এসব ভারত থেকে দূরে থাকবে।”

অন্যদিকে ক্ষমার সিদ্ধান্তের পাশেও দাঁড়িয়েছে অসংখ্য মানুষ। তাদের একজন রুতগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি পাঠরত এক ছাত্র বলেন, “এই দেশে মেয়েদের গাছ, পশু, মাটির পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তার বরের কল্যাণ হয়। এই কাজ যদি পাগলামো না হয়, তাহলে ক্ষমার কাজে অসুবিধাটা কোথায়!”

ক্ষমা জানিয়েছিলেন, এই বিয়েকে কেবল সাধারণ বিয়ে হিসেবে দেখতে চান না তিনি। তার উদ্দেশ্য ‘নারী ভাবনা’র প্রতিষ্ঠা। একজন নারীকে গুরুত্ব দেওয়া। ব্যক্তি নারীর চাওয়া-পাওয়াকে সম্মান করা।

ক্ষমা বলেছিলেন, “অনেকের মনে হতে পারে নিজেকে বিয়ে করা আসলে অর্থহীন। কিন্তু আমি যে বার্তা দিতে চাই তা হল ব্যক্তি নারীরও গুরুত্ব রয়েছে।”

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

কিউটিভি/অনিমা/১০.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সকাল ১১:০০

▎সর্বশেষ

ad