ব্রেকিং নিউজ
চিলমারীতে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ : অব্যহতি দুই বিক্ষোভকারীকে কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জ্বালানি খাতে দ্বিগুণ আয় রাশিয়ার

admin | আপডেট: ০৪ মে ২০২২ - ০৮:৩৯:৩০ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে সেনা পাঠানোয় রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পরপরই মস্কোর ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু বাস্তবে এসব হুমকি ফাঁকা আওয়াজে পরিণত হয়েছে। রাশিয়ার কোনো ক্ষতি তো হয়নি, উল্টো যুদ্ধের এ দুই মাসে ইউরোপে জ্বালানি বিক্রি বাবদ রাশিয়ার আয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। বিষয়টি পরিষ্কার করেছে বিশ্বের সমুদ্রগামী জাহাজ ও কার্গো চলাচল মনিটরিং সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার বা সিআরইএ।

সংস্থাটির এক রিপোর্ট মতে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন অভিযান শুরুর পর গত দুই মাসে ইউরোপের কাছে জ্বালানি বিক্রি বাবদ কমপক্ষে ৬ হাজার দুইশ’ কোটি ইউরো আদায় করেছে রাশিয়া। তাদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোই রাশিয়াকে জ্বালানির মূল্য বাবদ দিয়েছে ৪ হাজার চারশ’ কোটি ইউরো। আগের থেকে কম জ্বালানি সরবরাহ করেই এতটা অর্থ আয় করেছে মস্কো। ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পুরো ফাঁয়দা নেয় ক্রেমলিন। ইউরোপকে দিয়েছে বেশি দামে কম জ্বালানি। বিশ্বের জ্বালানির বাজার থেকে রাশিয়াকে একঘরে করার প্রচেষ্টায় সারা বিশ্বে তেল ও গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তেলের দাম প্রায় এক তৃতীয়াংশ এবং গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে দ্বিগুণ।

সিআরইএ’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর বেড়ে যাওয়া মূল্যেই ইউরোপের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি পুতিন কিংবা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার পশ্চিমা প্রচেষ্টাও কাজ করেনি। কারণ ইউরোপ থেকে আদায় করা প্রত্যেক ইউরো পকেটে পুড়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত জ্বালানি সংস্থাগুলো। সিআরইএ’র প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা করছে বিপি, শেল কিংবা এক্সন মবিলের মতো পশ্চিমা জ্বালানি কোম্পানিগুলো। ইউরোপে রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি গ্যাস কিনেছে জার্মানি। গত দুই মাসে ৯ বিলিয়ন ইউরোর জ্বালানি আমদানি করেছে তারা। তার পরপরই আছে ইতালি ও নেদারল্যান্ডস। সিআরইএ’র মতে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, যত বেশি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে, জ্বালানির দাম তত বেশি বাড়বে। এর অর্থ হচ্ছে, পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার রফতানি আয় বাড়তেই থাকবে।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/৪ঠা মে, ২০২২/১৮ বৈশাখ, ১৪২৯/রাত ৮:৩৮

▎সর্বশেষ

ad