ডেস্কনিউজঃ ২০১৮ সালে তৈরি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং এর অপব্যবহার নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। এবার তাতে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছে একটি পরিসংখ্যান। তা হলো- গত ২৬ মাসে ‘বিতর্কিত’ এই আইনে ৮৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অভিযুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৪৪ জন, আটক ৮৪২ জন।
আজ শনিবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ, সিজিএসের এক ওয়েবিনারে এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। ‘অন্তহীন দুঃস্বপ্ন- বাংলাদেশের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ কার্যক্রমের মুখ্য গবেষক সিজিএসের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. আলী রীয়াজ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডিস্টিংগুইসড প্রফেসর আলী রীযাজ জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৬ মাসে ডিজিটাল আইনে প্রতিমাসে গড়ে ৮৬ জনের বেশি অভিযুক্ত, ৩২ জন আটক এবং ৩৪টির বেশি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম বছরে, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত অভিযুক্ত হন ৯১৩ জন, আটক ২৭৩ জন এবং মামলা হয় ৪২৬টি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৩৩১ জন, ৬০৯ জন এবং ৪৬৪টি।
উল্লিখিত সময়ে সরকার অনুমোদিত ছাপা পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম, অভিযুক্ত ও অভিযুক্তের পরিবার, নিকটাত্মীয়, আইনজীবী এবং থানা ও অন্যান্য বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি।
ওয়েবিনারের আলোচনায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এবং আর্টিকেল নাইনটিনের বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক ফারুখ ফয়সল অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী, সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
বিপুল/২৪ এপ্রিল, ২০২২ |রাত ১২:৩০