ডেস্ক নিউজ : চৈত্রের প্রখর রোদে বাতাসে মাঝে মাঝে দোল খাচ্ছে মনকাড়া সূর্যমুখী ফুলগুলো। ক্ষণে ক্ষণে পাখি আর কীটপতঙ্গের দল ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ যেন এক অপরূপ এক দৃশ্য, যেটি আকৃষ্ট করছে সূর্যমুখী ফুল বাগানের পাশ দিয়ে রাস্তায় হেঁটে চলা পথচারীদের। চলতি বছর জেলায় তেলবীজ কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দিয়ে এই ফুলের চাষ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বাগবাটি এলাকার কৃষক হানিফ সরকার জানান, অন্যান্য ফসল আবাদের চেয়ে এই ফুল চাষে জমিতে সেচ ও সারের খরচ কম লাগে। চলতি বছর আমি ২০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফলের আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ করে মাত্র একশ দিনেই ২৫০ কেজি বীজ পাওয়ার আশা করছেন তিনি। হানিফ সরকারের ফলন দেখে অন্য কৃষকেরাও এই ফুল চাষে আগ্রহের কথা জানান।
সুফল পাওয়া একই এলাকার কৃষক মোস্তফা ও রহমত আলী জানান, কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিনামূলে সূর্যমুখী ফুলে বীজ ও সার আমরা আনন্দিত। স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলন পেয়েছি আমরা তাই আগামীতেও এই ফুলের চাষ করব। জেলার সদর উপসহকারি কৃষি অফিসার আব্দুল আলিম জানান, ফলন ভালো হওয়ায় এই ফুল থেকে উৎকৃষ্ট মানের তেল বীজ পাওয়া যায়। সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সেই সাথে এই তেল বিভিন্ন অসুখেরও প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুস্তম আলী জানান, সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়তে কৃষকদেরকে বীজ ও সার সহায়তার পাশাপাশি কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ফলন বৃদ্ধি পেতে সব ধরনের সহায়তার করা হচ্ছে। চলতি বছর তেল বীজ কৃষি প্রণোদনার আওতায় সদর উপজেলার ৩০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কিউটিভি/আয়শা/১০ই এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৪৭