ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ গাজী মাজহারুল আনোয়ার : তুমি সুতোয় বেধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হলো ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে যমুনায় ৮ দলের প্রতিনিধি, আশপাশ এলাকায় নেতাকর্মীরা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায়

একনেক সভায় ৩৩৯৭ কোটি টাকার শহর উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

admin | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২২ - ১০:৫৪:৩১ পিএম

ডেস্কনিউজঃ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) দেশের তিনটি সিটি করপোরেশন ও একটি পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সেখানকার প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে ৩ হাজার ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণবভন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যোগদান করেন।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ব্রিফিংয়ে জানান, একনেক সভায় ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ মোট ১২টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৭ হাজার ৯৯০ কোটি ১৪ লাখ টাকা সরকার ব্যয় করবে। বাকি ৫৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে এবং বাকি ৩ হাজার ৪৩২ কোটি ৩১ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে।

ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে মেরিন অ্যাকুরিয়াম স্থাপন প্রক্রিয়া জোরদার করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. কাওসার আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রী এর আগে কক্সবাজারে একটি মেরিন অ্যাকুরিয়াম স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

কাওসার আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে এর আলোকে ডিপিপি তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ডিপিপিতে আরো কিছু সংশোধন করার পর, সেটি পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেবে।

তিনি বলেন, অ্যাকুরিয়ামটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে এবং এবং দেশের মানুষ এর থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী পানিসম্পদ বিভাগকে নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণের মতো প্রকল্প আরো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) খুব বেশি উন্নয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে একটি চেম্বারের বাজেট সুপারিশ সম্পর্কে জানতে চাইলে মান্নান বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার দেশ চালাচ্ছে, তাই জনগণের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।

তিনি বলেন, ট্র্যাক রেকর্ড, অভিজ্ঞতা, বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের মনোভাব বুঝে সরকার তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এম এ মান্নান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত ইতিবাচক এবং জোরালোভাবে উন্নয়নের সূচনা করতে চায়। আমরা বেসরকারি খাতকে তাদের কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছি এবং আমাদের মূল লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

তিনি জানান, ডিসিসিআই বাস্তব ভিত্তিক যেসব প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলো আগামী বাজেটে বিবেচনা করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৩ হাজার ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ আরবান ডেভেলপমেন্ট এন্ড সিটি গভারন্যান্স (ইউডিসিজি) প্রকল্প, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ। প্রকল্প ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ৪৪৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়) প্রকল্প।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোটমনি নিবাস হোস্টেল নির্মাণ বা পুননির্মাণ প্রকল্পে (১ম সংশোধনী) ব্যয় হবে ৩৮৫ কোটি ২১ লাখ। ব্যয় বেড়েছে ৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইরিগেশন ম্যানেজম্যান্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলায় উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সেচ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ২০৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কিশোরগঞ্জ জেলার ১০টি উপজেলায় নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ, ওয়েভ প্রটেকশন এবং খাল পুনখনন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগের ঝিনাইদহ জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৫০০ কোটি টাকা। বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায়) প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ বিভাগের নতুন প্রকল্প ঢাকাস্থ ডেসকো এলাকায় বৈদ্যুতিক অবকাঠামো সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৭২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৯০৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

সূত্র : বাসস

বিপুল/৫ই এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | রাত ১০:৪৭

▎সর্বশেষ

ad