
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ত্রাণ কার্যক্রম আরও জটিল করে তুলেছে, গাজা ও পশ্চিম তীর উভয় স্থানে বাস্তুচ্যুতি বাড়ছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজাররিক বলেন, সংস্থাগুলো বেসামরিক নাগরিকদের, বিশেষ করে শিশুদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
দুজাররিক পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তুবাস ও জেনিনের উত্তরাঞ্চলে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে। যা অধিবাসীদের বাস্তুচ্যুত করছে, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রও বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, গত দুই দিনেই প্রায় দুই ডজন ফিলিস্তিনি পরিবার তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।
এদিকে শীত মৌসুম শরণার্থীদের জন্য আরও ভয়াবহতা নিয়ে আসেছে। দুজাররিক বলেন, অবরুদ্ধ অঞ্চলের শিশুদের জন্য গত দুই মাসে শীতের জন্য জুতা, কাপড়, কম্বল ও তোয়ালে বিতরণ করা হয়েছে। নভেম্বরের শেষ ১০ দিনে ১৬০টি তাঁবু বিতরণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে দুজাররিক জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল গাজা থেকে ১৮ জন রোগী ও ৫৪ জন সঙ্গীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। এখনও সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি রোগীর জন্য জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা প্রয়োজন।
তিনি সীমান্ত ও করিডর খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, রোগীদের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য গাজার বাইরে পাঠাতে এবং আন্তর্জাতিক জরুরি মেডিক্যাল দলগুলোকে গাজার মধ্যে প্রবেশের জন্য বাধাহীন সুবিধা দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার পাঁচটি গভর্নরেটে বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ ও বন্দুক হামলার তথ্য পেয়েছি।’
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
কিউএনবি/অনিমা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,/দুপুর ১২:১৭






