
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ পতাকাবাহী কয়েকটি ট্যাংকারে সাম্প্রতিক হামলার পর ইউক্রেনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে ইউক্রেনকে সমুদ্র থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এতে দেশটি সমুদ্রপথে কোনো কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে না।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন বলেন, রুশ জাহাজে হামলা ইউক্রেনীয় বাহিনীর ‘দস্যুতা’ ছাড়া কিছুই নয়। তার মতে, এমন হামলা চলতে থাকলে রাশিয়া প্রথমে ইউক্রেনের বন্দর ও সেখানে আসা জাহাজে আঘাত হানবে।
তিনি আরও বলেন, যদি ইউক্রেন এই ধরনের কর্মকাণ্ড না থামায়, তাহলে রাশিয়া তাদের আরেকটি বিকল্প বিবেচনা করতে পারে—ইউক্রেনকে সহায়তা করা দেশগুলোর জাহাজেও হামলা চালানো। তবে তিনি এটিও পরিষ্কার করেন যে, এখনই এমন হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি; শুধু সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে।
পুতিনের ভাষায়, সবচেয়ে বড় বিকল্প হলো ইউক্রেনকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। তখন এ ধরনের দস্যুতা আর সম্ভব হবে না।
সম্প্রতি সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার অন্তত তিনটি ট্যাংকারে হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব হামলাতেই জাহাজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে এবং শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা খুঁজতে মস্কো সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ ও জের্ড ক্রুসনার। টানা পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা চললেও তাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইউরি উসাকোভ।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অনিমা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,/দুপুর ১২:১১






