
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাজার অভ্যান্তরের মিলিশিয়া ও অস্ত্রধারী গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অভিযান জোরদার করছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই অভিযানের লক্ষ্য পুরো অঞ্চলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
অক্টোবর ১০ তারিখের যুদ্ধবিরতির পর থেকে হামাসের বাহিনী সক্রিয়ভাবে এই মিলিশিয়াদের লক্ষ্যবস্তু করছে, যার মধ্যে গাজা সিটির কুখ্যাত দুগমুশ গোত্রও আছে। তবে কিছু মিলিশিয়া এখনও ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় কার্যক্রম চালাচ্ছে, বিশেষ করে পূর্ব রাফার ইয়াসির আবু শাবাব নেতৃত্বাধীন তথাকথিত ‘পপুলার ফোর্সেস’ এবং উত্তর গাজার আশরাফ আল-মানসির নেতৃত্বাধীন ‘পপুলার আর্মি’।
এই গোষ্ঠীগুলোকে সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা ইসরাইলি সেনাবাহিনী থেকে অস্ত্র, অর্থ এবং লজিস্টিক সহায়তা পেয়ে থাকে।নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, দখলকারী সেনাদের সঙ্গে সহযোগিতা চালানো গ্যাং সদস্যের সংখ্যা এখন গাজা জুড়ে কয়েক শতকেই সীমাবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘এই গোষ্ঠীগুলো অপহরণ, হত্যাকাণ্ড, ধ্বংসযজ্ঞ এবং ইসরাইলি বাহিনীকে সশস্ত্র সুরক্ষা দিয়ে আসছে।’গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব মিলিশিয়া এবং ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে মধ্যে সমন্বয় রয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, হামাস তাদের থেকে প্রত্যাহার করা এলাকায় পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, স্থানীয় মিলিশিয়াগুলো পরাজিত হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম আবু শাবাব গ্রুপ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র বলছে, উত্তর এরেজ ক্রসিংয়ের কাছে সক্রিয় আল-মানসির ‘পপুলার আর্মি’ সবচেয়ে দুর্বল গোষ্ঠী এবং ঘনিষ্ঠ ইসরাইলি সুরক্ষার অধীনে কাজ করছে, যা হামাসের জন্য তাদের সরাসরি মোকাবিলা করা জটিল করছে।
তথ্যসূত্র: মেহের
আয়শা/২৩ অক্টোবর ২০২৫,/দুপুর ১:৫৫