
নিউজ ডেক্সঃ ডাকসু নির্বাচন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তবে আজকের মধ্যেই চেম্বার আদালতে এ বিষয়ে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির।সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন ।
শিশির মনির বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এরপর সময় থাকলে আজকের মধ্যেই চেম্বার আদালতে এ বিষয়ে আপিল করা হবে। আমাদের যতটুকু অভিজ্ঞতা আছে তাতে যেহেতু পিটিশনার তার পিটিশনে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চান নাই, এরপরও হাইকোর্ট বিভাগ নির্বাচন স্থগিত করেছেন। এটা অনেকটা নজিরবিহীন।
তিনি বলেন, অনেক প্রস্তুতি শেষ হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ২৬ তারিখে ফাইনাল ক্যান্ডিডেড ঘোষণা করেছে। তারপর আরও পাঁচদিন চলে গেছে। এই প্রেক্ষিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত হলে ছাত্রদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যত দ্রুত সম্ভব ঘন্টা মিনিট হিসাব করে চেম্বার জজের আদালতে হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে পিটিশন দায়ের করব। তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ সকলকেই অনুরোধ করবো তারা যেনো একটু ধৈর্য্যের পরিচয় দেন। সকলে যেনো এ ব্যাপাটিকে আদালতের একটি কর্মকাণ্ড আদালতেই ফয়সালার সুযোগ দেন। আশা করি আমরা উচ্চ আদালতে আমাদের প্রার্থিত প্রতিকার পাবো।
আজ নাকি আদালত এ বিষয়ে পিটিশন করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রুলসে যে বিধান আছে তা আমরা এখনি খতিয়ে দেখেছি। আমরা খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নেব। ইতোমধ্যে আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়। তপশিল অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। আর সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি ২১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এবার মোট ৪৭১ প্রার্থী ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। এ ছাড়া ২৮ প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ১১ জন ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে ২১৭ জনের নাম চূড়ান্ত করা করেছিল কমিশন।
অনলাইন নিউজ ডেক্সঃ
কুইক এন ভি/রাজ/০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫/ বিকালঃ ০৪.৫৫