
স্পোর্টস ডেস্ক : লামিনে ইয়ামাল একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট ধাঁচের জায়গা থেকে কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন, যেখানে নৌকা ভ্রমণ, পুলের ধারে আরাম করার মুহূর্ত এবং এমনকি হেলিকপ্টার রাইডও ছিল। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফাতি ভাসকেজ নামের এক স্প্যানিশ বিমানবালা যিনি এখন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, তিনিও একই জায়গা থেকে একই ধরনের পোস্ট শেয়ার করেন। আর তাতেই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে অনেকেই দাবি করছেন, তারা হয়তো প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
১৭ বছরের বড় ফাতির সঙ্গে ইয়ামালের সম্পর্কের গুঞ্জন তখনই ছড়িয়ে পড়ে যখন দেখা যায় যে ফাতি ও ইয়ামাল দুজনেই একই জায়গা থেকে ছবি পোস্ট করেছেন: একই হেলিকপ্টার, অভ্যন্তরের সাজসজ্জায় মিলে যাওয়া একটি প্রাইভেট জেট, একটি সুইমিং পুলসহ হোটেল এবং ইতালির সূর্যাস্তের দিকে মুখ করা একটি টেরেস — সবকিছুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও তারা একসঙ্গে ছবি তোলেননি, তবে যেসব উপাদানে মিল পাওয়া গেছে—যেমন হেলিকপ্টারের সিরিয়াল নাম্বার বা আবাসনের স্থাপত্যশৈলী—তা থেকেই জোর গুঞ্জনের সূত্রপাত হয়েছে।

তবে বড় বোমা ফাটিয়েছে স্প্যানিশ সাময়িকী লেকচারাস। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে তাদের প্রচ্ছদে ইয়ামাল ও ফাতির অবসর কাটানোর ছবি প্রকাশ করেছে সাময়িকীটি। সেই ছবিতে তাদের সৈকতে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে হাসাহাসি করতে দেখা যাচ্ছে। আরেক ছবিতে সমুদ্রের বুকে স্পিডবোটে একসঙ্গে ঘুরছিলেন তারা। ইয়মাল বোট চালাচ্ছিলেন আর পেছনে বসা ফাতি তাকে জড়িয়ে ধরে আছেন।

তবে নিজের চেয়ে ১৩ বছরের বড় স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন ইয়ামাল। ডেইলি মেইলের দাবি, স্প্যানিশ টিভি গসিপ রিপোর্টার শাবি দি ইয়োসকে নাকি ইয়ামাল জানিয়েছেন, ফাতির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই এবং তারা ডেটও করছেন না। দি ইয়োস আরও জানিয়েছেন, ইয়ামাল সেখানে একা ঘুরতে যাননি এবং তার সঙ্গে সেখানে তার বার্সেলোনা সতীর্থরাই ছিলেন।
দি ইয়োসের দাবি, ফাতি হয়ত বার্সেলোনার অন্য কোনো খেলোয়াড়ের বন্ধু, যিনি ইয়ামালের সঙ্গে ইতালি সফরে গিয়েছেন, কিংবা তার কোনো সতীর্থের সঙ্গে প্রেম করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিগুলো আলোড়ন সৃষ্টি করে মূলত ইয়ামাল ও ফাতির মধ্যে ১৩ বছরের বয়সের পার্থক্যকে কেন্দ্র করে। অনেকেই ফাতিকে লক্ষ্য করে সমালোচনা শুরু করেন, যার ফলে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করতে বাধ্য হন।
এখানে তিনি মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার কথাও জানান, ‘দুঃখজনক ব্যাপার হলো, কিছু মানুষের ভেতরে এতটা অন্ধকার থাকে যে তারা এমন একজনের জন্য মৃত্যুকামনা করতে পারে, যাকে তারা চিনেই না। আমি উদ্দেশ্যপূর্ণ বাঁচার পথ বেছে নিয়েছি, নিজেকে গড়ে তুলছি এবং আশেপাশে আলোকিত মানুষ রাখছি। যারা আমার অমঙ্গল কামনা করে, তাদের জন্য আমি মঙ্গল কামনা করি, কারণ কেউ যদি নিজের সঙ্গে ভালো থাকে, সে কখনোই আরেকজনকে ধ্বংস করতে চাইবে না।’
কিউটিভি/আয়শা/১৮ জুন ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:০০