
স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১১ সালে কেটিকে শুধুমাত্র একটি মৌসুমে আইপিএলে অংশগ্রহণ করেছিল। বিসিসিআই অভিযোগ এনেছিল যে, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যাংক গ্যারান্টির অর্থ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যা চুক্তি লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হয়। যে কারণে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বিসিসিআই ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তি বাতিল করে। ফলে আর কখনোই আইপিএলে কেটিকে’কে দেখা যায়নি।
কোচি ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেড (কেসিপিএল) এবং রেন্ডেভুস স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড (আরএসডব্লিউ) ২০১২ সালে সালিশি প্রক্রিয়া শুরু করে। তাদের দাবি, বিসিসিআই অন্যায়ভাবে চুক্তি বাতিল করেছে। ২০১৫ সালে সালিশি ট্রাইব্যুনাল কেসিপিএলকে ৩৮৪.৮৩ কোটি রুপি এবং আরএসডব্লিউকে ১৫৩.৩৪ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়, সব মিলিয়ে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৩৮.১৭ কোটি রুপি।
বিসিসিআই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বম্বে হাই কোর্টে আপিল করে, কিন্তু বিচারপতি আর.আই. চাগলা এই আপিল খারিজ করে দেন। তিনি বলেন, ‘এই আদালতের এখতিয়ার সীমিত এবং সালিশি ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের উপর পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ নেই।’ভারতের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার জন্য ছয় সপ্তাহের সময় দেয়া হয়েছে। এই রায় বিসিসিআইয়ের জন্য বড় একটি আর্থিক ও আইনি ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কেটিকে ২০১১ সালে আইপিএলে অংশগ্রহণ করে এবং ১০ দলের মধ্যে অষ্টম স্থানে থেকে শেষ করেছিল। এই দলের উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন মাহেলা জয়াবর্ধনে, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, রবিদ্র জাদেজা এবং স্টিভ স্মিথ। এই রায়কে আইপিএলের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বিসিসিআইয়ের মধ্যে চুক্তির ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।
কিউটিভি/আয়শা/১৯ জুন ২০২৫, /বিকাল ৫:১২