ব্রেকিং নিউজ
চিলমারীতে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ : অব্যহতি দুই বিক্ষোভকারীকে কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু

ক্রসফায়ারের নীলনকশা

Anima Rakhi | আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ - ০৩:২৪:০৬ পিএম

ডেস্ক নিউজ : ‘ক্রসফায়ারের নীলনকশা’ বইটি বাংলাদেশের একটি কালো অধ্যায়ের উপাখ্যান। সাংবাদিক ও লেখক আবু সুফিয়ানের এই অসামান্য সৃষ্টি আমাদের মনে করিয়ে দেয় র‌্যাব কীভাবে দেশে একটি ভয়ের সংষ্কৃতি জারি করেছিল। এই বই মনে করিয়ে দেয় শেখ হাসিনার শাসনামলে মানুষের জীবনের মূল্য নেমে এসেছিলো শূন্যের কোটায়।

আমরা জানি, বিচারবহির্ভূত হত্যা কোনোভাবেই একটি গণতান্ত্রিক বা মানবিক রাষ্ট্রের অংশ হতে পারে না। অথচ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে এই ‘ক্রসফায়ার’ শব্দটি হয়ে উঠেছিল প্রতিদিনের এক খুবই সাধারণ ঘটনা। এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় এক-একটি রক্তাক্ত কাহিনী তুলে ধরেছে, যা সমাজের সুস্থতার ভিতকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে এই জাতীয় ট্রমা থেকে বের হতে।

পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে র‌্যাব একটি ভয়ংকর ডেথ স্কোয়াডে পরিণত হয়, যা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক বিরোধীদের এবং ভিন্নমতের কণ্ঠরোধে ব্যবহৃত হয়েছে। এই বই থেকে আমরা জানতে পারি কীভাবে সরকার র‌্যাবকে বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো ও খুন করার যন্ত্রে পরিণত করেছিল।

এমন নিষ্ঠুরতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ২০২১ সালে র‌্যাব এবং এর ছয় সাবেক কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার চাপ সত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তখনকার সরকার র‌্যাবের কার্যকলাপ বন্ধ করেনি। বরং, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য তাদের আরও আগ্রাসীভাবে ব্যবহার করেছিল, যা আমরা দেখেছি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় প্রতিরোধকালে। এই বই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় র‌্যাবের ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়, যা আমাদের ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলোর পরিপন্থী। একটা মানবিক বাংলাদেশের পরিপন্থী। আবু সুফিয়ানের এই বই আমাদের নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে, যে ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব প্রকৃত দায়িত্ববোধ সম্পন্ন সরকারের এবং সেই সরকারের নাগরিকদের উপরে। আমি প্রত্যাশা করি, এই বইটি পাঠক সমাজ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ করে তুলবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বন্ধ হতে পারে না, এবং এই বই এই লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠুক।আবু সুফিয়ানকে তাঁর সত্য প্রকাশের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তাঁর এই উদ্যোগ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

ডক্টর মোবাশ্বার হাসান

সিডনি পলিসি এন্ড এনালাইসিস সেন্টার

কিউটিভি/অনিমা/৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৩:২৩

▎সর্বশেষ

ad