
ডেস্ক নিউজ : গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজি আলু ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতাসহ সচেতন মহল। এজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং কোল্ড স্টোরেজে তদারকি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তারা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম গাইবান্ধা ও নীলফামারীসহ এ অঞ্চলে চলতি অর্থ বছরে ১ লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩৫৪ টন। যা গত বছরের তুলায় ৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে বেশি আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ৩৮টি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। এসব স্টোরেজে ধারণক্ষমতা রয়েছে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩৭ টন। সেই অনুযায়ী এখনো বেশির ভাগ আলুই রয়েছে স্টোরেজে।
রেজমিনে রংপুর সিটি বাজার, সাতমাথা, কেরানীরহাট, লালবাগ, মডার্ন ও ধাপসহ মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে কার্ডিনাল জাতের আলু ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, এই সময়টাতে গৃহস্থ বা আলু উৎপাদনকারীদের ঘরে আলু থাকে না। যা আছে স্টোরে রয়েছে। গত বছর ২৫০ টাকা বস্তা প্রতি ভাড়া থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই এ বছর নেওয়া হচ্ছে ৩৮০ টাকা। এই কারণে কোনোভাবেই বাজারে আলুর দাম কমছে না। মূলত বিদ্যুতের দাম বেশির অজুহাতে সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়ানো হচ্ছে, যা অযৌক্তিক।
আলু ক্রেতা বুলবুল মিয়া বলেন, আলু খাবার তালিুকায় নিত্যদিনের পণ্য। প্রতিটি সংসারে কমবেশি প্রতিদিন আলু রান্না হয়। কিন্তু বর্তমানে আলুর বাজার সিন্ডিকেটে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
কিউটিভি/আয়শা/০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ৯:২১