কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বেচা কেনা কম হলেও জমে উঠেছে সাতমাইল পশুহাট

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ - ০৭:২৭:০২ পিএম

মনিরুল ইসলাম মনি : শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে যশোরের শার্শার সাতমাইল পশুহাট। ঈদ তাই কোরবানির গরু ও ছাগল কিনতে দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে এই হাট।দেশের বিভিন্ন জেলা থেতে পাইকারী গরু ব্যবসায়ী গরু ব্য্পাারীরা সাত মাইল পশু হাট থেকে পছন্দমত গরু ও ছাগল কিনে স্ব স্ব এলাকার বাজারে সরবরাহ করে থাকে।

শনিবার দুপুরে সাতমাইল পশু হাটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে হাজার হাজার গরু ছাগল উঠেছে এই বাজারে। অনেক ধরনের গরু ও ছাগল সেই সাথে ক্রেতা ও বিক্রেতা। সকাল ৮টার পর থেকে বেলা ১২টা ১ টার মধ্যে বাজার ভ্ের যায় গরু ও ছাগলে। সেই সাথে মহিষ ও ভেড়াও দেয়া যায়। ঈদের বাজার ধরতে স্থানীয় ছোট ছোট খামারীরা তাদের পোষা গরু ও ছাগল বিক্রি করতে এসে অনেকে কাঙ্খিত মুল্য না পেয়ে অষুশী। আবার অনেকে নেয্য মুল্য পেয়ে খুশী।

শনিবার দুপুওে সাতমাইল পশু হাটে গিয়ে দেখা যায় নানান সাইজের নানান ধরনের হাজার হাজার গরু। ক্রেতারাও তেমনি তাদের পছন্দের গরু দেখে ক্রয় করছে। অনেকে গরু পছন্দ করলেও মুল্য নিয়ে ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। যে কারনে অনেকে ছোট ছোট গরুর প্রতি বেশি ঝুকছে। বাজারে অনেক বড় বড় গরু উঠলেও বড় গরুর ক্রেতা কম। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাজারে গিয়ে কথা হয় ফেনির গরু ব্যবসায়ী মোস্তফা মিয়ানতের সাথে ।

তিনি বলেন অনেক বছর ধওে এই পশু হাট থেকে গরু ক্রয় করে তার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। অনেক লাভও হয় তার। তিনি বলেন এ হাটে এবার গরুর অনেক দাম হাকা হচ্ছে। তার জন্য গরু কেনায় সমষ্যা হচ্ছে। ব্যাপারীরা ও খামারীরা তাদের গরুর দামবেশি বলায়বেচাকেনা অনেক কম। এ জন্য তিনিবেশি গরু কিনতে পারেননি বলে জানান। গরু ব্যবসায়ী রাজু ও ফয়সাল বলেন, এ বছর গরুর দাম অনেক কম। তারা বলেন ছোট ছোট দেশী গরুর প্রতি মানুষের নজরবেশি।যে কারনে খামারের বিদেশী জাতের অনেক গরু বাজাওে উঠলেও ক্রেতা কম।

একজন খামারী বলেন,গো খাদ্যের অনেক দাম।যে কারনে গরুপোষা অনেক ব্যয় বহুল। তিনি বলেন খরচের তুলনায় গরুতে লাভ হচ্ছে না। অনেক খামারীদের লোকসান গুনতে হবে। বাহীরের ক্রেতা না আসলে গরু বেচা কেনা কম হয়। অর্থনীতির অবস্থা ভালো না থাকার এখনও সাতমাইল পশু হাটে গরু ছাগল আমদানী হলেও ক্রেতাদের অভাব। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারের পক্ষে পশু হাটের খাজনা আদায়কারী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অনেক গরু উঠলেওবেচাকেনা অনেক কম। করন হিসেবে তিনি বলেন, গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় ব্যাপারীরা তাদের গরুর দাম ছাড়ছে না। এ ছাড়া শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় বাহীরের ব্যবসায়ীরা আসতে পারেনি। এখনও সামনে আরও ২দিন হাট হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাক্তার বিনয় কৃঞ্চ মন্ডল বলেন, শার্শায়মোট ১২৯৫ টিছোট বড় খামার আছে। এই খামারে কোরবানীর জন্য ৪হাজার ২টি গরু ও ১৩ হাজার ১৪০টি ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন শার্শায় কোরবানীর চাহিদা পশুর সংখ্যা ১০ হাজার ১৯৫ টি। তবে শার্শা উপজেলায় কোরবানীর চাহিদা মেটানোর পর ৬হাজার ১৪০টি বাড়তি থাকায় তা বাহিরের এলাকায় বিক্রি করতে পারবে। ডাক্তার বিনয় কৃঞ্চ মন্ডল বলেন এ বছর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করলে স্থানীয় খামারীরা লাভবান হবে। এজন্য সীমান্তে ঈদের সময় কড়া নজরদারীর জন্য জিবি’র প্রতি আহবান জানান।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০৮ জুন ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:২৩

▎সর্বশেষ

ad