গাজার শিশুরা কাজে যাচ্ছে অভাবের তাড়নায়

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ - ০৩:২৫:৫৬ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজার শিশুরা এখন কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে পরিবারের জীবিতদের রক্ষায়। ৮ মাস আগে শুরু ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় হতাহতের ঘটনা এবং কাজের কোন পরিবেশ না থাকায় কর্মজীবীদের ৮০% বেকার হয়ে পড়েছে বলে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র মহাপরিচালক গিলবার্ট হোঙ্গবো জানিয়েছেন।

জেনেভায় অনুষ্ঠানরত ‘১১২তম আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে’ গিলবার্ট বলেছেন, গাজার শ্রম-বাজার বলতে গেলে ধ্বংস হয়ে গেছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস বাহিনী কর্তৃক ইসরায়েলিদের কনসার্টে ভয়ংকর আক্রমণের পর ইসরায়েলের প্রতিশোধপরায়নতা অব্যাহত থাকায় গাজা উপত্যকা ধ্বংস হয়ে পড়েছে। ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। 

হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রক্ষা পাচ্ছে না ইসরায়েলি বোমা হামলা থেকে। বলতে দ্বিধা নেই, বর্তমানে গাজা মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে। নিরাপদে বসবাসেরই উপায় নেই, কাজ করা দূরের কথা-মন্তব্য গিলবার্টের। তিনি বলেন, গাজায় শ্রমিকের অধিকার বলতে কিছুই নেই। ১৯৬৭ সালের পর এমন করুণ পরিস্থিতি কখনো হয়নি গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের। 

আইএলও এবং প্যালেস্টাইন সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্স’র তথ্য অনুযায়ী গাজায় এখন কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের হার ৭৯.১%। এরা সকলেই যে ইসরায়েল-হামাস বাহিনীর মধ্যেকার যুদ্ধের ভিকটিম হয়েছেন তা নয়, এরমধ্যে অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরও পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। পশ্চিম তীরের প্রতি ৩ জনের একজনই এখোন বেকার।

গাজা এবং পশ্চিম তীরের কর্মজীবী মানুষের অধিকাংশই এখন বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের পরিবার নিদারুণ দুর্ভিক্ষে নিপতিত হয়ে পড়ায় শিশুদেরকে খাবার সংগ্রহের জন্যে তাবুর বাইরে পাঠানো হচ্ছে। নারী এবং শিশুরাও ইসরায়েলি হামলায় হতাহত হলেও অভাবের তাড়নায় বেঁচে থাকা অসহায় নারীরা জীবনের ঝুঁকির মধ্যেই কাজে যেতে বাধ্য করছেন শিশুদেরকে।  

 

কিউটিভি/আয়শা/০৮ জুন ২০২৪,/বিকাল ৩:২১

▎সর্বশেষ

ad